স্টাইল কাকে বলে | স্টাইল কত প্রকার ও কি কি

স্টাইল (Style) কি?

স্টাইল হচ্ছে মানুষের একান্ত নিজস্ব রুচিবোধ বা ডিজাইন। 

স্টাইল
স্টাইল

স্টাইল (Style) কাকে বলে?

মানুষের নিজস্ব রুচিবোধ, যা নিজ ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় করে অন্যের নিকট তুলে ধরে তাকে স্টাইল বলে।

ফ্যাশন ও স্টাইলের মধ্যে পার্থক্য?

স্টাইলঃ

  • স্টাইল তৈরি হয় নিজস্ব চিন্তাধারার মাধ্যমে। 
  • স্টাইলের পর ফ্যাশন শুরু হয়।
  • স্টাইল সবার মধ্যে দেখা যায় না। 
  • স্টাইল সবার ক্ষেত্রে একরকম হয় না।
  • স্টাইল দীর্ঘ স্থায়ী।

ফ্যাশনঃ

  • ফ্যাশন শুরু হয় নিজস্ব চিন্তাধারার মাধ্যমে।
  • ফ্যাশনের পর স্টাইলের শুরু হয়।
  • ফ্যাশন সবার মধ্যে দেখা যায়।
  • ফ্যাশন সবার ক্ষেত্রে একই রকম হয়।
  • ফ্যাশন হল ক্ষনস্থায়ী।

স্টাইলের গুরুত্ব?

মানুষের নিজস্ব রুচিবোধই হল স্টাইল। আর মানুষের এই নিজস্ব রুচিবোধকে প্রকাশের জন্য স্টাইল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। নিচে স্টাইলের গুরুত্ব তুলে ধরা হলঃ
  • নতুন নতুন ফ্যাশনের জন্য স্টাইলের প্রয়োজন হয়।
  • মানুষের নিজস্ব ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে স্টাইলে গুরুত্ব আছে। 
  • নিজস্ব ভাবমূর্তি বজার রাখার জন্য স্টাইলের প্রয়োজন হয়।
  • অন্যের নিকট সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য স্টাইলের প্রয়োজন হয়।
  • মানুষের রুচিবোধ বহিঃপ্রকাশের জন্য স্টাইলের প্রয়োজন।

স্টাইল (Style) কত প্রকার ও কি কি?

স্টাইল তিন প্রকার যথাঃ
  • রাজকীয় স্টাইল (The empire style)
  • মিডি স্টাইল (Middy style)
  • শার্ট ওয়েস্ট স্টাইল (Shirt waist style)

রাজকীয় স্টাইল (The empire style) কি?

ফ্রান্সের সম্রাজ্ঞী Josepine এর স্টাইল হতে আধুনিক রাজকীয় পোশাকের উৎপত্তি। কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত ডিজাইনের পোশাকটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়।

ফলে কেউই স্টাইল ফ্যাশন হিসেবে পোশাকটি গ্রহণ করে নি। কারণ হচ্ছে উক্ত পোশাকটি খুব স্বচ্ছ ও গলা সম্পূর্ণরূপে খোলা ও গোড়ালি পর্যন্ত অনেক লম্বা। 

যার ফলে পরবর্তীতে রাজকীয় পরিবারের ডিজাইনারগণ পোশাকটির ডিজাইন পরিবর্তন করেন। ফলে পোশাকটি ব্যবহারের উপযোগী হয়।

মিডি স্টাইল (Middy style) কি?

নাবিকের ব্লাউজের ডিজাইন হল মিডি স্টাইলের ডিজাইন। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ২০ বছর এই পোশাকের খুব প্রচলন । কিন্তু ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে এই স্টাইলটি আবার ফ্যাশন হিসাবে প্রচলন শুরু হয়।

পরবর্তীতে উক্ত পোশাকের ডিজাইনটি ১৯৬০ সালে কিছুটা পরিবর্তন করে নানা বৈচিত্র্যপূর্ণ ভাবে তৈরি করা হয়। যার ফলে কিছু কিছু পোশাকে ঐতিহ্যবাহী সাদা সুতি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়। 

শার্ট ওয়েস্ট স্টাইল (Shirt waist style) কি?

উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ হতে শার্ট ওয়েস্ট স্টাইলটি খুবেই জনপ্রিয় হয়ে উঠে। শার্ট ওয়েস্ট স্টাইলটি ফ্যাশনে অনুপ্রাণিত হয়েছিল পুরুষদের শার্ট থেকে। 

১৯৫০ সালে শার্ট ওয়েস্ট স্টাইলের বিভিন্ন কাপড় ও ডিজাইনের বৈচিত্র্যমন্ডিত করে। ফলে এই স্টাইলটি খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পায়।

শার্ট ওয়েস্ট স্টাইল সাধারণত খুব আরামদায়ক হয় এবং সকল বয়সের পুরুষদের জন্য এবং সবধরনের অনুষ্ঠানে পরিধান করার জন্য খুবই উপযোগী পোশাক।

স্টাইলের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?

স্টাইলের বৈশিষ্ট্যগুলো হলঃ
  • স্টাইল হল ব্যক্তির সম্পূর্ণ নিজস্ব চিন্তা-চেতনা ও কলাকৌশল।
  • অপসংস্কৃতিরর সাথে স্টাইলের কোন মিল নেই।
  • স্টাইলের মাধ্যমে নিজ ব্যক্তিত্বের প্রকাশ পায়।
  • স্টাইল দীর্ঘস্থায়ী হয়।
  • স্টাইল হল ব্যক্তির ব্যক্তিগত সৃজনশীলতা ও নিজস্ব প্রতিভার ফল।

কি কি বিষয়ের উপর স্টাইল নির্ভর করে?

  • বয়সের উপর ভিত্তি করে 
  • ব্যবহারের উদ্দেশ্যর উপর
  • দামের উপর ভিত্তি করে
  • সাধারণ নীতির উপর ভিত্তি করে
  • শারীরিক গঠনের উপর ভিত্তি করে 
  • ঋতু উপর ভিত্তি করে 

বয়সের উপর ভিত্তি করে

যে কোন বয়সের জন্য যেকোন স্টাইল গ্রহনযোগ্য নয়। তাই বয়সের উপর ভিত্তি করে স্টাইল করা হয়। 

ব্যবহারের উদ্দেশ্যর উপর

কী উদ্দেশ্যে স্টাইল ব্যবহৃত হবে তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। যেমনঃ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্টাইলের ব্যবহার করা হয়। 

দামের উপর ভিত্তি করে

স্টাইলের সাথে দামের একটা সামঞ্জস্য পূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। কারণ স্টাইল যদি সাধারণের চেয়ে বেশি দামের হয়, তাহলে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। 

সাধারণ নীতির উপর ভিত্তি করে

বিভিন্ন অঞ্চলের সামাজিক নীতির উপর ভিত্তি করে স্টাইল তৈরি করা হয় তাকে সাধারণ নীতির উপর ভিত্তি করে স্টাইল বলে।

শারীরিক গঠনের উপর ভিত্তি করে

বিভিন্ন মানুষের শরীরের গঠন বিভিন্ন হয়। তাই শরীর গঠনের উপর ভিত্তি করে স্টাইল তৈরি করা হয়। 

ঋতু উপর ভিত্তি করে

বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের স্টাইলের ব্যবহার করা হয়।

পরিশেষে বলা যায় মানুষ জীবনে নিজ ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলনর জন্য স্টাইল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post