মেইনটেন্যান্স কাকে বলে | মেইনটেন্যান্স কত প্রকার

মেইনটেন্যান্স শব্দের অর্থ কি?

মেইনটেন্যান্স শব্দের অর্থ হল রক্ষণাবেক্ষণ করা।

মেইনটেন্যান্স কি?

মেইনটেন্যান্স হচ্ছে দীর্ঘকাল ব্যবহারের ফলে মেশিন, যন্ত্রপাতি অথবা সিস্টেমের ক্ষয়ের কারণে ফাংশন, ব্যবহার কাল ও  কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়াকে প্রতিরোধ করতে চালানো পরীক্ষণ এবং মেরামত কার্যক্রম। মেশিনে সাধারণত বিভিন্ন কারণে ক্ষয় হতে পারে।
মেইনটেন্যান্স
মেইনটেন্যান্স

যেমনঃ ঘর্ষণ, ক্যাভিটেশন, বাহ্যিক আঘাত, ইন্টারনাল ইমপ্যাক্ট, মেকানিক্যাল পার্ট (যেমনঃ নাট, বোলট, চেইন ও বেল্ট) ঢিলা হয়ে যাওয়া, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফিয়ারেন্স, দূষণ ইত্যাদি। 

মেইনটেন্যান্স এর উদ্দেশ্য কি কি?

বিভিন্ন উদ্দেশ্যে মেইনটেন্যান্স করা হয়ঃ
  • মেশিন বা ইকুইপমেন্ট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ।
  • পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ
  • মেশিন বা ইকুইপমেন্টের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিতকরণ
  • মেশিন বা যন্ত্রপাতির দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি।

মেইনটেন্যান্স কত প্রকার ও কি কি?

  • কারেক্টিভ মেইনটেন্যান্স
  • প্রেডিক্টিভ মেইনটেন্যান্স
  • পিরিওডিক মেইনটেন্যান্স / টাইম বেস্ড মেইনটেন্যান্স (টিবিএম)

কারেক্টিভ মেইনটেন্যান্স কি?

যখন কোন মেশিন বা যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায় অথবা কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন যে মেইনটেন্যান্স করা হয় তাকে কারেক্টিভ মেইনটেন্যান্স বলা হয়। 

সাধারণত যে সকল যন্ত্রাংশ মাইন্টেন্যান্সে থাকলে প্রডাকশন হ্রাস পায় না অথবা প্ল্যান্ট এর অপারেশনে কোন বিঘ্ন ঘটে না বা রিপ্লেস করা ব্যয়বহুল নয়।

(রেগুলার মেইনটেন্যান্স ব্যয় রিপ্লেসের খরচের থেকে বেশি হয়ে থাকে। যেমনঃ বাল্ব তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের মাইন্টেন্যান্স ব্যবহার করা হয়। আর এই ধরনের মাইন্টেন্যান্সে রিপেয়ার অথবা রিপ্লেস যে কোনটিই করা যেতে পারে।

কারেক্টিভ মেইনটেন্যান্স এর উপকারিতা?

  • স্বল্পমেয়াদি মেইনটেন্যান্স খরচ কমে
  • কম জনবল প্রয়োজন হয়

কারেক্টিভ মেইনটেন্যান্স এর অপকারিতা?

  • শ্রমিক এবং মেশিনের জন্য অসুরক্ষিত
  • যেকোন সময়ে ফেইলিউরের সম্ভাবনা রয়েছে।
  • সাধারণতমেশিনের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারযোগ্যতা হ্রাস পায়।

প্রেডিক্টিভ মেইনটেন্যান্স কি?

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে আমরা যেকোন মেশিনের বিভিন্ন প্যারামিটার যেমনঃ তাপমাত্রা, চাপ, ভাইব্রেশন, পাওয়ার কনসাম্পশন ইত্যাদি গেজ ও সেন্সরের সাহায্যে পরিমাপ করতে পারি। 

কোন একটি প্যারামিটার এর মান নির্দিষ্ট সীমার থেকে বেশি ফ্রাকচুয়েট করলে অনুমান করা হয় মেশিনে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে ও সেই অনুযায়ী মেইনটেন্যান্স করা হয়। আর এই ধরনের মেইনটেন্যান্সকে প্রেডিক্টিভ মেইনটেন্যান্স বলা হয়।

পিরিওডিক মেইনটেন্যান্স / টাইম বেস্ড মেইনটেন্যান্স (টিবিএম) কি?

প্রত্যেকটি মেশিন, ডিভাইস বা যন্ত্রপাতির ১টি আনুমানিক ব্যবহার কাল থাকে। ইহা সাধারণত এক্সপেরিমেন্ট, প্রোডাক্টের ইউসার ম্যানুয়াল, পূর্বে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়। 

আর এই ব্যবহার কালের ডাটা বা তথ্যের উপর ভিত্তি করে যে মেইনটেন্যান্স করা হয় তাকে পিরিওডিক মেইনটেন্যান্স বলা হয়। যেসকল সব যন্ত্রাংশ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে আনুমানিক ব্যবহার কাল এবং প্রকৃত ব্যবহার কাল বেশ কাছাকাছি হয়ে থাকে। 

লুব্রিকেন্ট পরিবর্তন করা, ফিলারের এলিমেন্ট পরিবর্তন করা, তাপমাত্রা এবং প্রেশার গেজ চেক করা এগুলো পিরিওডিক মেইনটেন্যান্সের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পিরিওডিক মেইন্টেন্যান্সের সাথে প্রেডিক্টিভ মেইন্টেন্যান্সের পার্থক্য?

পিরিওডিক মেইন্টেন্যান্সের ক্ষেত্রে রুটিন মেনে নির্দিষ্ট সময় পর পর মেইনটেন্যান্স করা হয়ে থাকে। আর প্রেডিক্টিভ মেইন্টেন্যান্সের ক্ষেত্রে কোন মেজারেবল প্যারামিটার অ্যাবনরমাল ভ্যালিউ প্রদর্শন করলেই শুধুমাত্র মেইনটেন্যান্স করা হয়। তবে মেইন্টেন্যান্সের এই পদ্ধতি টেকনিক্যাল রিসোর্স এবং জ্ঞানের উপর অধিকতর নির্ভরশীল হয়।
Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post