অ্যাসাইনমেন্ট হলো পড়াশোনার একটি অংশ বা পড়ালেখার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের মেধা ও সৃজনশীলতা যাচাই করার জন্য তাদেরকে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে থাকেন।
পাঠদানের অতিরিক্ত কাজ হিসেবে এটি দেওয়া হয়, যা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে করতে দেওয়া হয়।
এটি মূলত মাঠ পর্যায়ে লিখিত বা ব্যবহারিকও হতে পারে। একজন শিক্ষার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে মূল্যায়ন করার জন্য শিক্ষকগণ তাদের ছাত্র/ছাত্রীদেরকে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে থাকেন। শুধু যে শিক্ষা জীবনে অ্যাসাইনমেন্ট প্রয়োজন হয় তা নয়,কর্মজীবনেও কিন্তু অনেক সময় অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। তাই অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম কানুন জানা থাকা জরুরী।
অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম
আমরা পরীক্ষায় যেমন ভালো নাম্বার পেতে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকি,তেমনি ভাবে অ্যাসাইনমেন্ট লিখে ভালো নাম্বার তুলতে হলে আপনাকে কিছু ট্রিকস ব্যবহার করতে হবে। অ্যাসাইনমেন্ট লেখার সেই ট্রিকস গুলো জানতে এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
অ্যাসাইনমেন্ট লিখার জন্য যা যা প্রয়োজন
১,A4 সাইজের কাগজ।
২,পেন্সিল ও রাবার।
৩,মার্জিন টানার জন্য স্কেল।
৪,কালো কালির কলম।
৫,নীল কালির সাইনপেন।
৬,অ্যাসাইনমেন্ট এর বিষয় সম্পর্কিত বই অথবা তথ্য উপাত্ত।
অ্যাসাইনমেন্টের কাভার পেইজ
কাভার পেইজের নমুনা কপি কিছু প্রতিষ্ঠান প্রিন্ট করে দিয়ে থাকেন। এমন হলে কাভার পেইজে শুধু ঠিক মতো সঠিক তথ্যগুলো দিলেই কাজ শেষ হয়ে যায়।আর যদি এমন কাভার পেইজের নমুনা কপি না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার নিজেরই কাভার পেইজ তৈরি করতে হবে।
“ প্রথমে দর্শনদারী পরে গুণবিচারী”। তাই কাভার পেইজ সুন্দর করে গুছিয়ে সাবলীল ভাবে লিখলে ভালো মার্কস পাওয়া যাবে,
***কভার পেইজে যে বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে তা হলো,,
১.প্রতিষ্ঠানের নাম:
২.অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম:
৩.জমাদানের তারিখ:
৪.ছাত্র -ছাত্রীর নাম:
৫.বিষয়:
৬.শ্রেণি:
৭.শাখা:
৮.রোল নাম্বার:
অ্যাসাইনমেন্ট কভার পেইজের একটি নমুনা,
অ্যাসাইনমেন্টের লেখার অংশে কি কি থাকতে হবে
অ্যাসাইনমেন্টের লিখার অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাধারণত অ্যাসাইনমেন্ট লেখাকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।
★ভূমিকা।
★মূল অংশ।
★উপসংহার।
লেখা শুরু করার আগে অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে স্কেলের সাহায্যে A4 কাগজের দু’পাশে মার্জিন টানতে হবে। তারপর লেখা শুরু করবেন।
★ভূমিকা:-
অ্যাসাইনমেন্টটি যে বিষয়ের উপর লিখতে হবে তার ধারণা দিতে হবে কয়েক লাইনে। এই অংশটি যতোটা সহজ হবে ততোটাই আকর্ষণীয় হবে অ্যাসাইনমেন্টটি। কারণ, শিক্ষক প্রথমেই আপনার ভূমিকাটা পড়ে বুঝতে পারবেন অ্যাসাইনমেন্টটি কতোটা দক্ষতার সাথে লিখেছেন।
★ মূল অংশ:-
এই ধাপে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়ের উপর সকল তথ্য একত্র করে বর্ণনা করতে হবে। লেখা যেনো সুন্দরভাবে এবং সহজ ভাষায় তথ্য সম্বলিত হয়। অযথা লাইন বাড়িয়ে লিখলে নাম্বার কাটা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।খুব কঠিন করারও প্রয়োজন নেই, যতোটা সম্ভব সহজ ও গোছালো ভাষায় অ্যাসাইনমেন্টকে তথ্য বহুল করুন যেনো শিক্ষক বা পাঠক সহজেই বুঝতে পারেন।
★উপসংহার:-
লেখার উপর ভিত্তি করে, অল্পতে সুন্দর সাবলীল করে উপসংহার সাজিয়ে দিবেন।অ্যাসাইমেন্ট দেওয়া হয় যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতার বৃদ্ধি হয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাই লেখাতে নিজের সৃজনশীল গঠনের প্রকাশ করুন।বানান যেন ভুল না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।কাটাকাটি করা যাবে না, এতে অ্যাসাইনমেন্ট এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
অন্য পোস্টঃশিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম
***লেখা শেষে রিভিশন দিন:-
লেখা শেষে পুরোটা অ্যাসাইনমেন্ট পড়ে দেখুন, কোনো কিছু বাদ পড়েছে কিনা? কোনও ভুল আছে কিনা? রিভিশনটা অ্যাসাইনমেন্ট এর কাগজগুলো সেলাই করার আগে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
৬ষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম
ছাত্রজীবন বা ছাত্রীজীবন, অ্যাসাইনমেন্ট কমবেশী সবারই লিখতে হয়।ছাত্রজীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় অ্যাসাইনমেন্ট। আর এই অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম জানা না থাকলে, ভাল নাম্বার পাওয়া সম্ভব নয়।ছাত্রছাত্রীরা বাসায় বসে তা নিয়ে গবেষণা করে থাকে। অ্যাসাইনমেন্টের টপিক এর উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করে থাকে।তারসাথে লিখিত বিষয়বস্তু থাকে এবং কখনো কখনো ব্যবহারিক বিষয় ও থাকে।
অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে যা যা প্রয়োজনঃ-
*A4 সাইজের অফসেট কাগজ।
*কালো বলপেন।
*নীল রঙের সাইনপেন।
*পেনসিল ও স্কেল।
*অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়ের বই অথবা তথ্য উপাত্ত।
অ্যাসাইনমেন্টের কভার পেইজঃ-
কভার পেইজটি সুন্দর করে লিখতে হবে। শুরুতেই লিখতে হবে প্রতিষ্ঠানের নাম,তারপর নিজের নাম,শ্রেণি,শাখা, রোল নাম্বার, বিষয়,বিভাগ, বিষয় শিক্ষকের নাম,তারিখ এইগুলোই।এই বিষয়গুলো সুন্দর অক্ষরে স্পষ্ট করে লিখতে হবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্টের কভার পেইজের একটা নমুনা।
***অ্যাসাইনমেন্টে কি কি লিখতে হবে?
অ্যাসাইনমেন্ট সাধারনত ৩টি ভাগে লিখতে হয়।
**ভূমিকা দিতে হয়।
** মূল অংশ
**সবশেষে উপসংহার
★ভূমিকা অংশে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি নিয়ে সংক্ষিপ্ত ধারনা দিতে হয়। এই অংশটি পড়ে শিক্ষক যাতে ধারনা করতে পারেন কিসের উপর অ্যাসাইনমেন্ট লিখা হচ্ছে।
এরপর শুরু হবে মূল অংশ। এখানে বিষয়বস্তুর উপর বিশদ বিবরণ দেয়া হবে। খুব সুন্দর ও সহজ ভাষায় পুরো বিষয়বস্তু বর্ণনা করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল তথ্য থাকতে হবে।
★সবশেষে উপসংহারঃ-অ্যাসাইনমেন্ট এর এ অংশে আলোচ্য বিষয়ের উপর ইতি টানতে হবে। বিষয়টির ফলাফল সম্পর্কে বলে শেষ করতে হবে।
***অ্যাসাইনমেন্ট লিখার নিয়ম:-
অ্যাসাইনমেন্ট লিখার সময় খাতা অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে মার্জিন টানা থাকতে হবে।
**অ্যাসাইনমেন্ট সাধারনত খাতার ডান পাশে লিখা হয়। তবে বাম পাশে লিখলেও অসুবিধা নেই কিন্তু একটি আদর্শ অ্যাসাইনমেন্টে লিখা সবসময় একপাশেই হয়। পেজের একপাশে লিখলে, অপর পাশে লিখা যাবে না।
**অ্যাসাইনমেন্ট ছোট ছোট বাক্যে লিখতে হবে। অযথা বেশি লিখে বড় করার প্রয়োজন নেই।বড় বড় জটিল লাইন পরিহার করতে হবে। লিখার ভাষা সহজ ও সাবলীল হতে হবে।
**লিখার পরিচিত শব্দ ব্যবহার করা উচিত। লিখায় কোন কাটাকাটি হওয়া যাবেনা। কালো বলপেন দিয়ে লিখতে হবে।
**খাতার সুন্দর উপস্থাপনের জন্য নীল কালি দিয়ে পয়েন্টগুলো লিখা যেতে পারে।প্রয়োজনে চিত্র সংযুক্ত করা যেতে পারে। বিজ্ঞান ও গণিতের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়।
**অ্যাসাইনমেন্ট এর শেষে একটি খালি কাগজ যুক্ত করতে হবে।
অন্য পোস্টঃছাড়পত্রের জন্য আবেদন করার নিয়ম
এইচএসসি/একাদশ শ্রেনির অ্যাসাইনমেন্ট লিখার নিয়মঃ-
★★অ্যাসাইনমেন্ট লিখার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীঃ-
১। একটি স্কেল।
২। একটি পেন্সিল।
৩। কালো বলপয়েন্ট কলম।
৪।নীল কালারের সাইনপেন।
৫। A4 সাইজের কিছু কাগজ।
***অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়মঃ-
১। A4 সাইজের কাগজের একপাশে লিখবে। (উভয় পাশে লিখবে না)
২। স্পষ্ট করে লেখার চেষ্টা করবেন।
৩। লেখার ভিতরে কাটা-কাটি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।
৪। প্রশ্নের সিরিয়াল (১,২,৩) ঠিক রেখে লিখবেন।
★★অ্যাসাইনমেন্টের কাভার পেইজঃ-
১। প্রথম অংশ শিক্ষার্থী পূরণ করবে
২। দ্বিতীয় অংশ মূল্যায়নকারী শিক্ষক পূরণ করবে
৩। তৃতীয় অংশ প্রতিষ্ঠান পূরণ করবে
** খেয়াল রাখবেন কাভার পেইজ এর তিনটা অংশই ইংরেজীতে পূরণ করতে হবে।
এ্যাসাইনমেন্টের যে অংশ শিক্ষার্থীগন পূরণ করবে তার প্রথমেই আছে এ্যাসাইনমেন্টের ক্রমিক নম্বর
** এ্যাসাইনমেন্টের ক্রমিক নম্বর : আপনি যে এ্যাসাইনমেন্টেটি তৈরি লিখবেন সেই বিষয়ের প্রথম ঘরেই ক্রমিক নম্বর দেওয়া আছে। “বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা” প্রশ্নে দেখেন এর প্রথম ঘরেই এ্যাসাইনমেন্ট নম্বর ১ লেখা আছে । তাহলে আপনি ক্রমিক নম্বরে লিখবেন,যদি ২ হয়,তাহলে লিখবেন ২। (এটা ইংরেজীতেই লিখবে)
** শিরোনামঃ আপনি যদি “বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা” শুরু করেন, তবে শিরোনাম পয়েন্টে লেখা আছে, ‘ ইতিহাস পরিচিতি ‘। কাজেই শিরোনামে এই লেখাটি লিখতে হবে।
** বিষয় কোড ও বিষয়ের নামঃ এটা আপনার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে লেখা আছে।” (ইংরেজীতেই লিখবেন)
বিষয়ের নাম : “বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা
শিক্ষাবোর্ডের নাম : শুধু জেলার নাম লিখবেন না। বরং আপনি লিখবেন (Dhaka Board/ Jashore Board)। (এটা ইংরেজীতেই লিখবেন)
রেজিষ্ট্রেশন নম্বরঃ এটা তোমার এস.এস.সি এর রেজিষ্ট্রেশন কার্ড থেকে দেখে খুব সতর্কতার সহিত লিখবে যেনো কোনো প্রকার ভুল না হয়।(এটা ইংরেজীতেই লিখবে)
শিক্ষার্থীর নাম :আপনার রেজিষ্ট্রেশন কার্ড দেখে আপনার নাম লিখবেন রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে যেভাবে ঠিক সেই ভাবে।(এটা ইংরেজীতেই লিখবেন)
পিতার নাম :আপনার রেজিষ্ট্রেশন কার্ড দেখে। (এটা ইংরেজীতেই লিখবে)
মাতার নাম : আপনার রেজিষ্ট্রেশন কার্ড দেখে। (এটা ইংরেজীতেই লিখবে)
কিভাবে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা শুরু করবেন:-
A4 সাইজ পেইজ নিয়ে পেন্সিল দিয়ে সুন্দর করে মার্জিন করবেন। কালো বলপয়েন্ট কলম দিয়ে লিখবেন। “এ্যাসাইনসেন্ট -০১” লিখে নিচে প্রথমে “ক” শেষ করে তারপর “খ” তারপর “গ” ধারাবাহিকভাবে পেইজের একপাশেই লিখবেন, অন্য পাশে খালি রাখি।
** অ্যাসাইনমেন্টে উত্তর লেখার ক্ষেত্রে কালো বলপয়েন্ট ছাড়া অন্য কোনো কালারিং পেন ব্যবহার না করাই ভালো।
লেখা শেষ হলে পূরণ করা কাভার পেইজের (এইচএসসি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর প্রদত্ত কভার পেজ ব্যবহার করতে হবে।) সাথে এই লেখাগুলো পিনআপ করে নেন।অ্যাসাইনমেন্ট রেডি হয়ে গেল।
ইংরেজিতে অ্যাসাইনমেন্ট লিখার নিয়ম:-
★★Assignment Writing Rules,,,
Just like we follow some special methods to get good marks in exams, you need to use some tricks to get good marks in writing assignments. Read this article completely to know the tricks of writing assignments.
★★Materials required for writing the assignment:-
1. a scale.
2. a pencil
3. Black ballpoint pen.
4. Blue color sign pen.
5. Some A4 size paper
★★Assignment Cover Page:-
The cover page should be well written.
In the beginning,
You should write the name of the institution,
*Then your name,
*Class,
* Branch,
*Roll number,
*Subject,
*Department,
*Subject teacher's name,
*Date.
These things should be written clearly in beautiful letters.
*** What should be written in the assignment?
Assignments are usually written in 3 parts.
Introduction is required.
Main part
. Finally the conclusion
★★Rules for Writing Assignments:-
The notebook must have margins drawn in pencil while writing assignments.
**Assignments are usually written on the right side of the notebook. But there is no problem in writing on left side but in a standard assignment writing is always on one side. If you write on one side of the page, you cannot write on the other side.
**Assignment should be written in short sentences. No need to write too much and make it big. Avoid long complicated lines. Writing language should be simple and fluent.
**Writing should use familiar words. There can be no quarrel in writing. Write with black ball pen.
**Points can be written in blue ink for better presentation of the book. Illustrations can be attached if required. Required in science and mathematics.
**A blank sheet of paper must be added at the end of the assignment.
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট লেখা তেমন কঠিন কিছু না। এরপূর্বে আপনি স্কুলে বা কলেজে যদি অ্যাসাইনমেন্ট লিখে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটি আরও সহজ হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট লেখার সাথে স্কুলের কলেজের লেখার এসাইনমেন্ট এর সাথে অনেক মিল রয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে গেলে যা প্রয়োজন হয়-
*A4 সাইজের ভালো অফসেট কাগজ
*কালো রংয়ের বলপেন।
*একটি নীল রঙের সাইনপেন (অন্য কালার ও ব্যবহার করা যায় তবে লাল বা কমলা জাতীয় রঙ ব্যবহার করা যাবে না।নীল রং টাই ভালো।
*মার্জিন করার জন্য স্কেল ও পেনসিল ।
*অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়ের বই।
*তথ্য/উপাত্ত।
অ্যাসাইনমেন্ট এর কভার পেইজ
অ্যাসাইনমেন্ট এর কভার পেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কভার পেজের ডিজাইন অনেকটা আকর্ষণীয় হয়ে থাকলে বিষয়টি অনেক সুন্দর দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায় এসাইনমেন্ট এর কভার পেজ এর সুন্দর ডিজাইনের জন্য একটি ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো মার্ক দিয়ে থাকে।
**অ্যাসাইনমেন্টে যে বিষয়গুলো থাকবে,
প্রতিষ্ঠানের নাম,নিজের নাম,শ্রেণী, শাখা,রোল নাম্বার,বিষয় এবং বিষয় শিক্ষকের নাম, বিভাগ, তারিখ এইগুলা লিখতে হবে।
অ্যাসাইনমেন্ট সাধারনত তিনটি ভাগে লিখতে হয়।
প্রথমে সুন্দর ভূমিকা দিতে হয়।
পরে বিষয়ের মূল অংশ।
শেষে উপসংহার দিয়ে শেষ করতে হয়।
লেখার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে
যে বিষয়ের উপরে অ্যাসাইনমেন্ট লিখবেন সে বিষয়টা ভালোভাবে পর্যালোচনা করতে হবে,খাতায় অন্য ধরনের অপ্রাসঙ্গিক লেখা লেখা যাবে না।
হাতের লেখা সুস্পষ্ট থাকতে হবে এবং খাতায় কোন ধরনের কাটাছেঁড়া থাকা যাবে না।লেখা পরিষ্কার থাকতে হবে।
অ্যাসাইনমেন্ট ছোট ছোট বাক্যে লিখতে হবে।লিখার ভাষা সহজ ও সাবলীল হতে হবে।
নীল কালি দিয়ে খাতার সুন্দর উপস্থাপনের জন্য পয়েন্টগুলো লিখা যেতে পারে।
অন্যের লিখা কপি করে লেখা যাবে ।
কোনো শিক্ষার্থী যদি উপরের দেওয়া টিপস গুলো ভালোভাবে ফলো করেন তাহলে সহজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারবেন।
ডিপিএড অ্যাসাইনমেন্ট কি?
ডিপিএড কার্যক্রমের মধ্যে অ্যাসাইনমেন্ট লিখা একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কাজটি সুন্দর ভাবে করতে অনেক ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীদের অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। তাদের মাঝে অনেক প্রশ্ন আসে অ্যাসাইনমেন্ট এ কি লিখতে হবে, কিভাবে লিখতে হবে, কিভাবে সাজাবো ইত্যাদি। ডিপিএড অ্যাসাইনমেন্ট লেখার কিছু নিয়ম রয়েছে।নিয়মগুলো অনুসরণ করলে একটি সুন্দর ডিপিএড অ্যাসাইনমেন্ট লিখা সম্ভব হবে।
ডিপিএড অ্যাসাইনমেন্ট লিখার নিয়মাবলী
কভার পেইজ তৈরি করা
**অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রথমে আসে কভার পেইজ।কভার পেইজএ পিটিআই এর নাম,অ্যাসাইনমেন্ট এর বিষয়ের নাম, ইন্সট্রাক্টরদের নাম ও প্রশিক্ষণার্থীর নাম, রোল লিখতে হবে।
সূচিপত্র
**সূচিপত্রের মাধ্যমে আপনার অ্যাসাইনমেন্ট এর কোন পেজে কোন বিষয় রয়েছে তা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে হয়।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
এটা অবশ্য অনেকে অ্যাসাইনমেন্টে দেন না। এই পেজে আপনার অ্যাসাইনমেন্ট টি সুন্দরভাবে তৈরি করতে যে যে সহযোগিতা করেছেন তাদের নাম,যেমন সহকর্মী ও ইন্সট্রাক্টরদের নাম যারা আপনাকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে এই পেজের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জানাতে হয়। এই পেজটি অ্যাসাইনমেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ভূমিকা
যে কোনো বিষয়ে এসাইনমেন্ট তৈরি করার প্রথমে যে কাজটি করতে হয় সেই টপিকের উপর কিছুটা ভূমিকা লিখতে হয়। অনেকেই হঠাৎ করে অ্যাসাইনমেন্টের মূল কথা লেখা শুরু করে দেয় তা ঠিক না। ভূমিকা অ্যাসাইনমেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
মূল অংশ
এই অংশ অ্যাসাইনমেন্টের সব থেকে মূল অংশ। এখানে টপিক এর বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।এই অংশটি মিনিমাম আট থেকে দশ পেজ হলে ভালো। তবে আপনি চাইলে আরও বেশি লিখতে পারেন।
উপসংহার
অ্যাসাইনমেন্ট এর মূল অংশ লিখার পর একটি উপসংহার লিখতে হয়। এর মাধ্যমে টপিকের উপর আপনি আপনার কোন পরামর্শ কোনো মতামত আপনি উপস্থাপন করতে পারেন।
তথ্যসূত্র
আপনার অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে আপনি কোথা থেকে তথ্য গুলো কালেক্ট করেছেন এ বিষয়ে এখানে বিস্তারিত লিখবেন। যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে ইনফরমেশন নিয়ে থাকেন তবে সে ওয়েবসাইটের লিঙ্ক এখানে মেনশন করে দিবেন,অথবা কোনো বই থেকে ইনফরমেশন নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করলে সেগুলোর নাম লিখবেন।
এই স্টেপগুলো ফলো করে আপনি যে কোনো ডিপিএড অ্যাসাইনমেন্ট সুন্দর করে তৈরি করে লিখতে পারবেন।
শেষে একটা কথা,আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা ষষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম, এইচএসসি অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম,একাদশ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম,ইংরেজিতে অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম, ডিপিএড অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম এসব সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পেরেছেন।।তারপরও যদি এই বিষয় সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারেন।