জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার আবেদন করার নিয়ম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার আবেদন করার নিয়ম


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার আবেদন কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সালের শেষের দিকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং এখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য ফ্রী আবেদন করতে নিচের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।




জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার আবেদন করার নিয়ম



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকার রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উক্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার আবেদন করার নিয়ম ধাপে ধাপে আলোকপাত করা হলো। আমাদের দেখানো পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করলে কম্পিউটার দোকানে দৌঁড়ানোর ভোগান্তি এড়াতে পারবেন। 



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা টিকার আবেদন লিঙ্ক 



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোবেল করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন রেজিষ্ট্রেশনের জন্য http://103.113.200.28/student_covidinfo/ ওয়েবসাইট চালু করেছে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভ্যাকসিন নিবন্ধন করতে হবে।



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন আবেদনে যা যা লাগবে 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার আবেদন করার নিয়ম

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্ট্রেশন নম্বর (রেজিষ্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী)

  • শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর।

  • একটি সচল মোবাইল নম্বর,ব্যাক্তিগত হলে ভালো হয়।

  • ইতোমধ্যে উক্ত শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে কি না।

  • উক্ত শিক্ষার্থী আবাসিক থাকেন কি না (কোন হল বা মেস ইত্যাদি)।



অন্য পোস্টঃপ্রশংসা পত্রের জন্য আবেদন করার নিয়ম

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার রেজিষ্ট্রেশনের পদ্ধতি



মাত্র কয়েকটি সাধারণ ধাপে সহজেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের করোনা ভ্যাকসিন বা টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। এর জন্য আস্তে আস্তে নিচের কার্যগুলো সম্পন্ন করুন। মনে রাখবেন আবেদনের শেষ তারিখের জন্য অপেক্ষা না করে আপনার নিজের টিকা রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।


১। সর্বপ্রথম ভ্যাকসিন নিবন্ধের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটhttp://103.113.200.28/student_covidinfo ভিজিট করুন।

২। আপনার অনার্স/ মাস্টার্স/ ডিগ্রী/ প্রফেশনাল কিংবা অন্যান্য রেজিষ্ট্রেশন নম্বরটি লিখুন।(জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী) 

৩। রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে পরের ধাপে প্রবেশ করলে আপনি আপনার সকল তথ্য সেখানে দেখতে পাবেন।

৪। এই ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দেয়া শেষে মোবাইল নম্বর লিখুন।

৫। ইতোমধ্যে আপনি করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে ‌‌'হ্যাঁ' নির্বাচন করুন।আর ভ্যাকসিন গ্রহণ না করে থাকলে 'না' নির্বাচন করে দিন।

৬। আপনি যদি আবাসিক হলে বা আবাসিক শিক্ষার্থী হোন সেটারও তথ্য দিন।

৭। এছাড়া সেখানে আরো যেসকল অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য চাইবে সেগুলোও প্রদান করুন।

৮। সকল তথ্য ভালোভাবে দেখে নিন, সঠিক হলে সাবমিট করুন এবং কাগজটি প্রিন্ট করে নিজের কাছেই রাখুন।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার আবেদন করার নিয়ম



এছাড়াও অফিস আদেশ মোতাবেক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজ/ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক থেকে গবেষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্যাবলি www.nubd.info/college ওয়েবসাইটে লগইন করে কলেজের প্রোফাইলে জরুরি ভিত্তিতে আপডেট করে অনলাইনে পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়।



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন রেজিষ্ট্রেশন কারা করতে পারবেন?



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল পর্যায়ের কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা করোনা ভ্যাকসিনের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। অনার্স, মাস্টার্স, ডিগ্রী পাস কোর্স, প্রফেশনালস ও অন্যান্য সকল শিক্ষার্থীরাই নিয়ম অনুযায়ী টীকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সকল বর্ষের নিয়মিত ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর সে লক্ষ্যেই তথ্য সংগ্রহের এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়টি।



অন্য পোস্টঃবিনা বেতনে অধ্যায়নের জন্য আবেদন করার নিয়ম 


করোনা টিকা আবেদনের উপায় 



যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন না তবে এক্ষেত্রে করোনার টিকা পেতে আগ্রহীরা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) গিয়ে অথবা তাদের মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধনের কাজটি সারতে পারবেন। আর নিবন্ধনের পর সেখান থেকেই জানা যাবে কবে কখন কোথায় গিয়ে টিকা নিতে হবে। 


তবে জেনে রাখা ভালো, ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করা হবে না।

কেননা পরিচয় যাচাইয়ে এই অ্যাপ্লিকেশনে ১৮টি শ্রেণি করা হয়েছে, যার যেকোনো একটি সিলেক্ট করার পর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধনের শুরু করতে হবে।


সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার যাচাই করে সব ঠিক থাকলে স্ক্রিনে নিবন্ধনকারীর নাম দেখানো হবে বাংলা ও ইংরেজিতে। ওখানকার একটি ঘরে একটি মোবাইল ফোন নম্বর চাওয়া হবে, যে নম্বরে তাকে পরে টিকাদান সংক্রান্ত তথ্য এসএমএস করা জানানো হবে।  


মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পর ওয়েবসাইটে থেকেই একটি ঘর পূরণ করতে হবে, যেখানে জানাতে হবে নিবন্ধনকারীর দীর্ঘমেয়াদী রোগ বা কোমর বিডিটি আছে কিনা, এগুলো না থাকলে অন্য কোন কোন রোগ আছে।


তারপর সেখানে আরেকটি ঘরে জানাতে হবে পেশা এবং নিবন্ধনকারী কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কাজে সরাসরি জড়িত কি না!


এরপর বর্তমান ঠিকানা ও কোন কেন্দ্র থেকে নিবন্ধনকারী টিকা নিতে ইচ্ছুক তা সিলেক্ট করতে হবে। সব শেষে ফরম সেইভ করলে নিবন্ধনকারীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে ওটিপি কোড। আর সেই ওটিপি কোড দিয়ে ‘স্ট্যাটাস যাচাই’ বাটনে ক্লিক করলে নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে।  


আপনার নিবন্ধন হয়ে গেলে টিকার প্রথম ডোজের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম এসএমএস এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর উক্ত ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ দিয়ে লগ ইন করে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া ওটিপি কোড দিয়ে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। 



এসএমএস এ যে নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হবে, সেই তারিখেই টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিতে পারবেন নিবন্ধনকারীরা। এভাবে দুটি ডোজ শেষ হলে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন থেকে সহজেই ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সনদ সংগ্রহ করা যাবে।



অন্য পোস্টঃপ্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম



শেষকথা 



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকার আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ঐ সময় নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫ জানুয়ারি ২০২২। আর এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই মূলত ভ্যাকসিন রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়। 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post