ইউনিক আইডি ফরম পূরণের নিয়ম বা কিভাবে ইউনিক আইডি ফর্ম খুব সহজেই পূরণ করা যায় আজকের পোস্টে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে তাদের ইউনিক আইডি কার্ড ফরম পূরণ করবে আজকের আলোচনা। আমাদের দেশের সকল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কে স্বতন্ত্র বা ইউনিক আইডি নাম্বার সম্বলিত কার্ড দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদেরকে ইউনিক আইডির জন্য নিজেদের পরিচিতি মূলক তথ্য নির্দিষ্ট ফর্মে পূরণ করে জমা দেওয়া লাগবে। কেননা শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিক আইডি বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই ইউনিক আইডি কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে একটি আলাদা রোল নাম্বার দেওয়া হবে।
আর এই রোল নাম্বার বাংলাদেশের কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মিলবে না। এই রোল নাম্বার এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তি পরীক্ষার সহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম অনায়াসে সম্পাদন করতে পারবেন।
অর্থাৎ আমাদের যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র বিভিন্ন সময় প্রয়োজন হয়ে থাকে তেমনি ইউনিক আইডি কার্ডটি শিক্ষার্থীদের অনেক কাজে প্রয়োজন হবে। ইউনিক আইডি ফরম কিভাবে পূরণ করবেন বা ইউনিক আইডি ফরম পূরণ করার নিয়ম জানতে চাইলে অবশ্যই আজকের পোস্টটি বিস্তারিত পড়বেন।
ইউনিক আইডি কি?
ইউনিক ফ্রম পুরন করার আগে অবশ্যই জানতে হবে ইউনিক আইডি কি। ইউনিক আইডি হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তৈরি এক ধরনের আইডি কার্ড। স্কুল-কলেজের প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কে মৌলিক এবং শিক্ষার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক স্থানে রাখার জন্য ইউনিক আইডি কার্ড তৈরি করা হচ্ছে। ইউনিক আইডি কার্ডে একটি রোল নাম্বার দেওয়া থাকবে যা শিক্ষার্থীকে সমস্ত শিক্ষা জীবনে ব্যবহার করতে হবে।
ধরুন শিক্ষার্থীরা এখন প্রতি ক্লাসে আলাদা আলাদা রোল নাম্বার পেয়ে থাকে কিন্তু ইউনিক আইডি কার্ড কার্যকর হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা প্রতি ক্লাসে আলাদা আলাদা রোল নাম্বার পাবে না। অর্থাৎ তাদের একটি রোল নাম্বার ব্যবহার করেই শিক্ষাজীবন পার করতে হবে। তখন শিক্ষার্থীদেরকে ১০-১২ অথবা ১৭ ডিজিটের একটি রোল নাম্বার প্রদান করা হবে।
ইউনিক আইডি কার্ড দেখতে অনেকটা জাতীয় পরিচয় পত্রের মত হবে। এক কথায় ইউনিক আইডি কার্ড হচ্ছে ছাত্রদের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের মতো অর্থাৎ ছাত্রদের পরিচয় পত্র।
অন্য পোস্টঃলটারি জেতার অসাধারণ উপায়
ইউনিক আইডি কার্ড কেন প্রয়োজন/ইউনিক আইডি কার্ড না করলে কি হবে
একজন শিক্ষার্থীর জন্য ইউনিক আইডি কার্ড খুবই প্রয়োজনীয় একটি ডকুমেন্ট। শিক্ষার্থী ইউনিক আইডি কার্ডের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল প্রকাশ,রেজিস্ট্রেশন,বৃত্তি, উপবৃত্তি এবং অর্থ নেয়া সহ আরো অনেক ধরনের সুবিধা পাবেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীর বয়স যখন ১৮ বছরের বেশি হয়ে যাবে তখন তার এই ইউনিক আইডি কার্ডটি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডে রূপান্তরিত করা হবে।
তাছাড়া এই ইউনিক কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কি করছে শিক্ষার্থীরা চাকরি করছে কিনা এবং শিক্ষার্থীরা এখনো পড়াশোনা করছে কিনা সে সকল বিষয় ইউনিক কার্ডের সংরক্ষিত থাকবে।
তাছাড়া ইউনিক কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজে শিক্ষার্থীরা বই নিতে পারবেন। অর্থাৎ যারা ডুপ্লিকেট বই নিয়ে থাকেন তারা এই ইউনিক আইডি কার্ডের মাধ্যমে আর কোন ডুপ্লিকেট বা বেশি বই নিতে পারবেন না। কেননা শিক্ষার্থীদের সঠিক পরিসংখ্যান আগেই সরকারের হাতে চলে যাবে আর সেই ভিত্তিতেই বইপ্রদান করা হবে।
ইউনিক আইডি কার্ডের জন্য কি কি লাগবে
শিক্ষার্থীদেরকে ইউনিক আইডি কার্ড করার জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে। তাই নিচে ইউনিক আইডি কার্ডের জন্য কি কি লাগবে বা কি কি প্রয়োজন হবে তা দেওয়া হল
১. শিক্ষার্থীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে এবং ছবিতে অবশ্যই দুই কান এবং দুই চোখ স্পষ্ট দেখা যেতে হবে। তাছাড়া ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে। ছবির পেছনে শিক্ষার্থীর নাম লেখা থাকতে হবে।
২. শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের অনলাইন কপি প্রয়োজন হবে।
৩. শিক্ষার্থীর পূর্বের শ্রেণি পরীক্ষার অনলাইন মার্কশিট যদি থাকে তাহলে প্রয়োজন হবে ( পঞ্চম অথবা অষ্টম )
৪. শিক্ষার্থীর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র ফটো কপি লাগবে।
৫. শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা যদি মৃত হয়ে থাকে তাহলে বর্তমান অভিভাবকের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে।
৬. শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী হলে প্রতিবন্ধী কার্ডের ফটোকপি লাগবে এবং রক্তের গ্রুপ কার্ড লাগবে।
৭. মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হলে তার ডকুমেন্ট লাগবে।
যারা ইউনিক আইডি কার্ড করতে চান তাদের এই ডকুমেন্টগুলো থাকলে খুব সহজেই ইউনিক আইডি কার্ড করতে পারবেন।
অন্য পোস্টঃইমু একাউন্ট খোলার নিয়ম খুব সহজেই
ইউনিক আইডি ফরম পূরণ করার নিয়ম
ইউনিক আইডি ফরম পূরণ করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে এবার জানতে পারবেন। ইউনিক আইডি ফরম পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ তাই শিক্ষার্থীরা যখন ইউনিটক আইডি ফরম পূরণ করবেন অবশ্যই সতর্কতার সাথে পূরণ করবেন। ইউনিক আইডি পূরণ করার সম্পূর্ণ প্রসেসটা নিচে দেওয়া হল:
১. ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে
জন্ম নিবন্ধন এর অনলাইন কপি যেটা রয়েছে সেটা অনুযায়ী নিজের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার,জন্ম তারিখ,জন্মস্থান, এবং অন্যান্য যে সকল তথ্য চাইবে সেগুলো লিখতে হবে। অবশ্যই জন্ম নিবন্ধনে যে ধরনের তথ্য রয়েছে ইউনিক আইডি কার্ডে সেই তথ্য দিবেন। না হলে পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আর আপনার জন্ম নিবন্ধন টি যদি অনলাইন করা না হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করে নিবেন।
২. পিতা মাতার তথ্য দিতে হবে
ইউনিক আইডি কার্ডে অবশ্যই নিজেদের পিতা-মাতার তথ্য দিতে হবে। মা বাবার নাম ইংরেজি এবং বাংলাতে এবং এনআইডি নাম্বার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং মোবাইল নাম্বার সহ পেশা সঠিকভাবে লিখতে হবে। তবে অবশ্যই ধীরে ধীরে সঠিকভাবে লেখার চেষ্টা করতে হবে।
৩. ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকানা দিতে হবে
শিক্ষার্থীদেরকে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা ফর্মে উল্লেখ করতে হবে। বিভাগ জেলা সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা ইত্যাদি তথ্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উপস্থাপন করতে হবে। যাদের বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা এক তাদের স্থায়ী ঠিকানা ঘরটি পূরণ করতে হবে না।
৪. শিক্ষার্থীর পড়াশোনা সম্পর্কিত তথ্য
শিক্ষার্থীর নাম ঠিকানা বিভাগ জেলা ইত্যাদি এই পর্যায়ে উল্লেখ করতে হবে। শিক্ষার্থী বর্তমানে কোন শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে এবং তার রোল নাম্বার কত সবকিছু উল্লেখ করতে হবে। শিক্ষার্থী কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে সেটি উল্লেখ করতে হবে। শিক্ষার্থীর যদি কোন মেধাবৃত্তি বা উপবৃত্তি থেকে থাকে তাহলে সেটা লিখতে হবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীর ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সকল পরীক্ষার তথ্য দিতে হবে।
ইউনিক আইডি কার্ডে ভুল হলে করণীয়
ইউনিক আইডি কার্ডের ফরম পূরণ করার সময় ভুল করে থাকেন। তাদের জন্য বলে রাখা জরুরী যে ইউনিক আইডি কার্ডে যদি কোন ধরনের ভুল হয়ে থাকে সেটা সংশোধনের জন্য অনেক জটিলতা রয়েছে। শিক্ষার্থীর বাবা-মার জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে ইউনিক আইডির বেশিরভাগ তথ্য নেওয়া হবে। তাই ইউনিক আইডি কার্ড সংশোধন করতে হলে বাবা-মার জাতীয় পরিচয় পত্রে যদি কোন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে সেটা ঠিক করতে হবে যা অনেক ঝামেলার একটি কাজ। তাই অবশ্যই ইউনিক আইডি কার্ড ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
অন্য পোস্ট:স্বাধীন ওয়াইফাই নিবন্ধন করার নিয়ম
ইউনিক আইডি ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ
ইউনিক আইডি কার্ড যখন দেওয়ার শেষ তারিখ বা কত তারিখ পর্যন্ত ইউনিক আইডি কার্ড ফরম জমা নেবে এই নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে।আপনারা সরাসরি এই বিষয়টা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।কেননা এর মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে আপনি বিস্তারিত ধারণা পাবেন।
ইউনিক আইডি ফরম ডাউনলোড
ইউনিক আইডি কার্ড যারা ডাউনলোড করতে চান তারা খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। পাঁচ বছর বয়সী ছাত্র থেকে শুরু করে ১৭ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ইউনিক আইডি কার্ড করতে হবে। ইউনিক আইডি কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করে সেটা জানার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
শেষ কথা, ইউনিক আইডি কার্ড ফরম পূরণের নিয়ম বা কিভাবে খুব সহজেই শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি কার্ডের ফরম পূরণ করবে আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে সেই বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি কোন বিষয়ে সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
Thanks admin to share a useful article. Also you can read.......
ReplyDelete1. ডিগ্রি সাবজেক্ট কি কি
2. সাদিয়া নামের মেয়েরা কেমন হয়
3. মারিয়া নামের মেয়েরা কেমন হয়
4. পরীক্ষায় ভালো করার উপায়
5. মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা