আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভাল আছেন।এ ধ্বনি উচ্চারণ কিভাবে করতে হয় বা এর ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম সম্পর্কে আজকের পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে।অর্থাৎ আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম জানতে পারবেন উদাহরণসহ।তার আগে আমরা জেনে নিবো ধ্বনি কি বা কাকে বলে।
ধ্বনি কি?
বাংলা ভাষার ক্ষুদ্রতম এককের নাম হচ্ছে ধ্বনি।সহজ ভাষায় বলতে গেলে যেকোনো ভাষায় উচ্চারিত শব্দকে সুক্ষভাবে বিচার বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে যে অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম অংশ পাওয়া যায় তাকেই সাধারণত ধ্বনি বলে।
তাছাড়া অন্যভাবে, মানুষের সাথে মানুষের ভাব বিনিময়ের জন্য যেসব অর্থযুক্ত বাক যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারণ করা হয় সেইসব শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকেই ধ্বনি বলা হয়।তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে মানুষের মানুষের বাগ যন্ত্রের সহায় তাই উচ্চারিত ধ্বনির থেকেই ভাষার সৃষ্টি।
মানুষ সাধারণত তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য একে অপরের সাথে কথা বলে থাকেন। আর এক্ষেত্রে মানুষের কথা হচ্ছে অর্থযুক্ত কিছু ধ্বনি।
অন্য পোস্টঃযোগ কাকে বলে এবং যোগের বৈশিষ্ট্য কি কি
এ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম
ধ্বনি কি বা কাকে বলে পৃথিবীর মধ্যে এই সম্পর্কে আমরা জেনে গিয়েছি।এবার আমাদেরকে জানতে হবে এ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম সম্পর্কে।আপনার হয়তো খুব বেশি সকলেই জানেন বাংলা ভাষায় এ-কার লিখিতভাবে একটি হলেও এর উচ্চারণস্বরূপ দুইটি। আর দুইটি উচ্চারণের মধ্যে একটি হচ্ছে এ এবং অন্যটি আ্যা।এবার নিচে উদাহরণসহ এ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:-
Rule 1 .শব্দের আদিতে প্রথম শুরুতেই যদি এ কার থাকে এবং তারপর যদি যথাক্রমে ই” “ঈ” “উ” “ঊ” “এ” “ও” “য়” “র” “ল” “শ” এবং “হ তাহলে এ এর উচ্চারণ অবিকৃতভাবে অনেকটা উচ্চারিত হয়ে থাকে। যেমন:-
প্রদত্ত শব্দ উচ্চারণ
একি একি
দেখি দেখি
শেষ শেষ
ছেলে ছেলে
Rule 2ঃআদ্য এ এর পরে অ বা আ কার থাকলে সেই এ এর সাধারণত আ্যা রূপে অনেকটা উচ্চারিত হয়ে থাকে। নিচে আপনারা এর উদাহরণ স্বরূপ দেখতে পারেন তাহলে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন:-
প্রদত্ত শব্দ উচ্চারণ
এক অ্যাক্
একা অ্যাকা
তেমন ত্যামোন্
হেন হ্যানো
যেমন য্যামোন
Rule 3ঃ আদ্য এর পরে যদি অ, আ, ঙ” ইত্যাদি থেকে থাকে এবং তারপরে যদি ই বা উ কার থাকে তাহলে এ এর উচ্চারণ অবিকৃত থেকে থাকে।নিচে উদাহরণস্বরূপ দেখানো হলোঃ-
প্রদত্ত শব্দ উচ্চারণ
একটি এক্ টি
তেমনি তেম্ নি
ভেঙচি ভেঙ্ চি
Rule 4ঃ আদ্য এ কারের পর যদি “ংং” “ঙ” বা “ঙ্গ” এবং এরপর যদি ই”, “উ” অনুপস্থিত থাকে তবে সেক্ষেত্রে এ” এর উচ্চারণ “অ্যা” কারে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। নিচে বোঝানোর জন্য উদাহরণস্বরূপ দেওয়া হলো:-
প্রদত্ত শব্দ উচ্চারণ
বেঙ্গমা ব্যাঙ্ গোমা
টেংরা ট্যাঙ্ রা
Rule 5ঃএ কার যুক্ত একাক্ষর ধাতুর সঙ্গে আ প্রত্যয় যদি যুক্ত করা হয় তাহলে সেই এ কারের উচ্চারণ আ্যা এর মতো হয়।নিচে আপনাদের সুবিধার জন্য কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলোঃ-
প্রদত্ত শব্দ উচ্চারণ
দেখা দ্যাখা
খেলা খ্যালা
বেচা ব্যাচা
শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা এ ধ্বনি উচ্চারণ নিয়ম উদাহরণসহ জানতে পেরেছেন। তারপরেও যদি কোন বিষয়ে সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নটির খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়া হবে।