জিমেইল বিক্রি করে দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করুন

জিমেইল বিক্রি করে দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করুন


জিমেইল বিক্রি করে টাকা আয় বা জিমেইল খুলে ইনকাম হয় কথাটি শুনে কি অবাক হচ্ছেন?অবাক হওয়ার কিছু নেই।হ্যাঁ বর্তমানে আপনি চাইলে জিমেইল একাউন্ট খুলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক, টুইটারে অনেকে জিমেইল কেনার জন্য পোষ্ট করে থাকে এবং তারা ভালো দামে জিমেইল কিনে থাকেন।কেননা জিমেইল দিয়ে তারা অনেক ধরনের মার্কেটিং কাজ করে থাকেন।অনেকে ফেসবুকে আনলিমিটেড জিমেইল কিনতে চান বলে পোস্ট করে থাকেন এবং তারা নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করিয়ে তাদের ক্লায়েন্টের কাছ থেকে জিমেইল সংগ্রহ করে থাকেন।



আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানাবো জিমেইল খুলে ইনকাম বা জিমেইল বিক্রি করে টাকা আয় কিভাবে করা যায় সেই সম্পর্কে।তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেয়া যাক:-



জিমেইল খুলে ইনকাম করা কি সম্ভব?


যারা অনলাইনে কাজ করে থাকেন তাদের কাছে জিমেইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।জিমেইল বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমন ছবি পাঠানো মেসেজ পাঠানো এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে জিমেইল ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিংর জন্য জিমেইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বর্তমানে জিমেইল খুলে ইনকাম করা যাচ্ছে কিন্তু এই বিষয়ে হয়তো অনেকেই জানেন না। 


কিন্তু অনেকেই নিদৃষ্ট ট্রিকস ব্যবহার করে  জিমেইল খুলে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে।আমি নিজেও জিমেইল খুলে প্রতিদিন হাজার টাকার বেশি ইনকাম করে থাকি।তাহলে এবার প্রশ্ন আসতে পারে জিমেইল খুলে কিভাবে এবং তা বিক্রি করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। 



জিমেইল একাউন্ট খুলে টাকা ইনকাম করার নিয়ম


আপনারা হয়তো কমবেশি সকলেই জানেন একটি মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি শুধুমাত্র পাঁচটা জিমেইল একাউন্ট করতে পারেন। কিন্তু অনেক গোপন ট্রিক্স রয়েছে যে ট্রিক্সগুলো ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি দিনে অসংখ্য জিমেইল তৈরি করতে পারেন এবং উক্ত জিমেইল গুলো গুগল সিটে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে পরবর্তীতে ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রি করতে পারেন।


এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট যদি আপনার কাছে আনলিমিটেড জিমেইল চাই তাহলে আপনি যত বেশি জিমেইল খুলতে পারবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।অর্থাৎ আপনাকে যদি বায়ার একটি জিমেইল এর জন্য ১০ টাকা দিয়ে থাকে তাহলে আপনি দিনে ১০০ টা জিমেইল খুললেই আপনার ১০০০ টাকা হয়ে যাবে। 

এই জিমেইল গুলো গুগল সিটের সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং বায়ারকে জিমেইল ডেলিভারি দেওয়ার পর বায়ার পেমেন্ট করে দেয়।এইভাবে জিমেইল বিক্রি করে টাকা আয় করা যায় খুব সহজেই।



জিমেইল আইডি খুলে কোথায় বিক্রি করবো/gmail sell website


অনেকেই জিমেইল আইডি খুলে টাকা ইনকাম করতে হয় এটা সম্পর্কে জানেন কিন্তু জিমেইল খোলার পর কার কাছে বিক্রি করবেন বা বায়ার কোথায় পাবেন এই বিষয়ে কোন ধারনা থাকে না। 



দেখুন জিমেইল বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা অনেক সহজ এবং আপনি চাইলে মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টা কাজ করেই দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে প্রথম পর্যায়ে যারা কাজ করতে চাই তারা বায়ার কোথায় পাবে, অর্থাৎ কাজ কোথা থেকে নিবে এবং কার কাছে কাজ জমা দিবে, পেমেন্ট কিভাবে পাবে এই নিয়ে কোনো ধারণা থাকে না। 



অনেকে প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে কাজ ডেলিভারি করার পরও টাকা পান না।তাই অবশ্যই বিশ্বস্ত কারও সাথে কাজ করা উচিত। কেননা আপনি যখন জিমেইল বিক্রি করে টাকা আয় করতে চাইবেন তখন আপনি একটি টিম হয়ে কাজ করবেন।তাই এক্ষেত্রে প্রতারক যদি টাকা মেরে দেয় শুধু আপনার টাকা মারবে না আপনার সাথে যারা কাজ করছে তাদের টাকাও মেরে দিবে। 



তাই এক্ষেত্রে একজন বিশ্বস্ত বায়ারের কাছ থেকে কাজ নিতে হবে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে।আর যদি তেমন কোনো বিশ্বস্ত বায়ার হাতের কাছে না থাকে তাহলে সরাসরি kbb38033@gmail.com এই ঠিকানায় মেইল করতে পারেন যদি কাজ করতে চান।অথবা সরাসরি চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিয়ে কাজ করতে পারেন।




জিমেইল খুলে টাকা আয়/জিমেইল বিক্রি করে কত টাকা আয় করা সম্ভব


অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ভাই জিমেইল বিক্রি করে কত টাকা আয় করা যায় বা এই কাজ করে তেমন টাকা পাওয়া যায় না। যারা এই প্রশ্নটা করে থাকেন তাদের ধারণা একেবারেই ভুল। ধরুন আপনাকে কোন ক্লায়েন্ট ১০০০ জিমেইলের কাজ দিলো।সে আপনাকে জিমেইল প্রতি ৮ টাকা করে দিবে।তার প্রতিদিন ১০০০ জিমেইল লাগবে যেহেতু আপনার পক্ষে এক হাজার জিমেইল করা সম্ভব নয় তাই আপনি চাইলে কয়েকজনকে নিয়ে টিম আকারে কাজ করতে পারেন। 



আপনি যদি প্রতিদিন বায়ারকে ১০০০ জিমেইলের কাজ বুঝিয়ে দেন তাহলে সে আপনাকে ৮০০০ টাকা দিয়ে দিচ্ছে। আপনার টিমের মেম্বারদের যদি আপনি এক টাকা কম করেও দেন তাহলে আপনার একহাজার জিমেইলে ১০০০ টাকা লাভ হয়ে যাচ্ছে।আর আপনি নিজে কিছু জিমেইল যদি খুলে থাকেন তাহলে আপনার ইনকামের পরিমাণ আরো বাড়বে। তাহলে হয়তো অবশ্যই বুঝতে পারছেন জিমেইল বিক্রি করে কত টাকা আয় করা যায়।




শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা জিমেইল আইডি খুলে টাকা ইনকাম বা জিমেইল বিক্রি করে টাকা আয় কিভাবে করবেন এই বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তার পরেও যদি কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।


Next Post Previous Post