টাক মাথায় চুল গজানোর প্রাকৃতিক উপায়

টাক মাথায় চুল গজানোর প্রাকৃতিক উপায়


টাক মাথায় নতুন চুল গজানো কি সম্ভব?আজকের পোষ্টে এই নিয়ে আলোচনা করা হবে।বর্তমান সময়ে আমাদের কিছু বাজে অভ্যাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এর কারণে আমাদের চুল অকালেই ঝরে পড়ে।তখন অনেকেই জানতে চান যে আমাদের হারানোর চুল আর ফিরে পাবো কিনা। যাদের চুল পড়তে পড়তে অনেক পাতলা হয়ে গিয়েছে এবং টাক হতে দেখা শুরু করেছে তাদের জন্য আজকের উপায়টি দারুন কার্যকারী। আজকের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন টাক মাথায় চুল গজানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে।তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাকঃ-



অন্য পোস্টঃচুলের জন্য কোন শ্যাম্পু ভালো হবে

টাক মাথায় চুল গজানোর প্রাকৃতিক উপায়


বর্তমান সময়ে চুল পড়ে যাচ্ছে বা মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে এই সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আপনারা দুটি কাজ করতে পারেন।প্রথম কাজটি হচ্ছে চুল ঝরে পরা কে রোধ করতে হবে এবং দ্বিতীয় কাজটি হচ্ছে নতুন চুল গজানোর ব্যবস্থা করতে হবে।চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করা যায় তাহলে আবার নতুন করে চুল গজানো সম্ভব হবে। আর এটি আপনারা কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে করতে পারেন। 



পদ্ধতি ১ঃচুল নিয়মিত মাসাজ করতে হবে। নিয়মিত চুল মাসাজ করলে স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং স্কালপ উদ্দীপ্ত হয়।প্রথমে একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ  ভিটামিন ই এর তেল নিন এবং এতে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ভালভাবে মাসাজ করতে থাকুন। তবে আপনি চাইলে ভিটামিন ই এর তেলের সাথে চায়ের নির্যাস যোগ করতে পারেন। এই দুইটি উপাদান ভালোভাবে মিক্স করা হয়ে গেলে হাতের আঙুলের সাহায্যে এটি চুলের স্কাল্পের ভালভাবে লাগিয়ে নিন এবং চুল মাসাজ করতে থাকুন। এইভাবে আপনারা ৫-৬ মিনিট ধীরে ধীরে মাসাজ করতে থাকুন। তারপর ভালো একটি চিরুনি দিয়ে চুল আচড়িয়ে ফেলুন। 


চুল আচঁড়ানো হয়ে গেলে ভালো কন্ডিশনার দিয়ে সুন্দর ভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন । যারা নতুন চুল গজাতে চান তারা দিনে তিনবার এই নিয়মে মাসাজ করতে পারেন। তবে কখনই ঘনো ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না এতে করে চুলের ক্ষতি হতে পারে। 



পদ্ধতি ২ঃচুলের গোড়ায় হেয়ার ফলিকল থাকে যদি ভাইব্রেশনের মাধ্যমে কোনভাবেই চুলের হেয়ার ফলিকলকে উদ্দীপ্ত করা যায় তাহলে নতুন চুল গজিয়ে থাকে। আপনারা বাজারে অনেক ধরনের ভাইব্রেটিং মেসেজার আর কিনতে পাবেন এর মাধ্যমে আপনার চুলের স্কাল্পে চক্রাকার ভাবে ঘুরিয়ে চুল ভাইব্রেশন করতে পারেন।যে স্থানে চুল পড়তে পড়তে অনেক পাতলা হয়ে গিয়েছে সেই স্থানের দিকে বেশি নজর দিন। এইভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভাইব্রেট করতে হবে।ভালো ফলাফল পেতে আপনারা দিনে তিনবার এই কাজটি করতে পারেন। 



পদ্ধতি ৩ঃঅনেকে চুলে কোন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন সেটা বুঝে উঠতে পারেন না। চুলে এমন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যার মাধ্যমে চুলের মৃত কোষ গুলোকে দূর করা যায়। কেননা এই মৃতকোষগুলো চুলের ফলিকল ব্লক করে রাখে যার কারণে নতুন চুল গজায় না। তাই অবশ্যই ভালো কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যাতে মাথার মৃতকোষগুলো দূর হয়। 



নতুন চুল গজানোর খাবার


শুধু চুলের যত্নের জন্য বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করলে হবে না আপনি যদি চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টির না জোগাতে পারেন তাহলে কোন ভাবেই কাজ হবে না। আর এর জন্য অবশ্যই আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি।



অন্য পোস্টঃচুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম 

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে 


নতুন চুল গজানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কেননা আমাদের চুল গঠিত হয়েছে কেরাটিন দিয়ে। কেরাটিন সাধারণত অ্যামাইনো এসিড দিয়ে তৈরি আর এটা এক ধরনের প্রোটিন। তাই অবশ্যই নতুন চুল গজানোর জন্য আমাদের শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। তাই খাদ্য তালিকায় মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম এগুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি রাখার চেষ্টা করবেন।তাছাড়া আপনারা সোয়াবিন মটরশুঁটি কলা বাগাম এই খাবারগুলো খেতে পারেন কেননা এগুলো ও নতুন চুল গজানোর জন্য সাহায্য করে থাকে। 



আয়রন ও জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে 


আয়রন এবং জিংক আমাদের মাথার কোষের অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া নতুন টিস্যু তৈরি করতে আয়রন এবং যে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছি না যদি নতুন চুল গজাতে হয় তাহলে অবশ্যই আয়রন এবং জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।আর মটরসুটি, বাদাম,কলিজা,মাংস, দুধে প্রচুর পরিমাণে জিংক এবং আয়রন রয়েছে তাই আপনারা এই খাবারগুলোর মধ্যে থেকে যে কোন একটি প্রতিদিন খেতে পারেন।



ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে 


নতুন চুল গজানো এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন-সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেয়ারা, লেবু, কমলা, আনারস এবং কাঁচা মরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে তাই এগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি খাবার আপনারা প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন এতে করে নতুন চুল গজাবে। 



কালোজিরা খেতে পারেন 


যাদের চুল পড়ে অনেক হালকা হয়ে গিয়েছে তারা নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন।কেননা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে কালোজিরা নতুন চুল গজাতে সহায়ক। তাই খাবারের কালোজিরা এবং মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করলে নতুন চুল গজিয়ে থাকে। 



অন্য পোস্টঃকোকড়ানো চুল সোজা করার সহজ উপায় 


শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা টাক মাথায় চুল গজানোর প্রাকৃতিক উপায় বা কিভাবে টাক মাথায় দ্রুত সময়ের মধ্যে চুল গজানো যায় সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাই উক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে পাতলা চুল ঘন করে তুলুন এবং নতুন চুল গজাতে চেষ্টা করুন। 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post