কপালে নতুন চুল গজানোর ঘরোয়া উপায়

কপালে নতুন চুল গজানোর ঘরোয়া উপায়


চুল পড়া খুবই বিরক্তিকর একটি বিষয়। চুল পড়তে পড়তে একসময় আমাদের মাথার চুল অনেক হালকা হয়ে যায়। বিশেষ করে ছেলেদের কপালের সামনে অধিক পরিমাণে চুল পড়ে থাকে এবং কপালের চুলের ঘনত্ব কমে যেতে থাকে। তাই যাদের কপালে চুলের ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে তাদের জন্যই আমাদের আজকের পোস্টটি।আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করা হবে কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে। ওস্তাদ খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এবং ঘরোয়া কিছু প্যাক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি নিজের কপালে নতুন চুল গজিয়ে তুলতে পারবেন।



অন্য পোস্টঃ
ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজানোর উপায়

কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় 


যাদের কপালের সামনের চুল নেই তাদের চুল না থাকার জন্য চেহারায় প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে এই সমস্যাটা ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। তাই তারা এই সমস্যা থেকে কিভাবে প্রতিকার পাবেন এবং কিভাবে আবার পুনরায় কপালে নতুন চুল গজিয়ে তুলবেন সেই নিয়ে ভাবতে থাকেন। নিচে আমি আপনাদেরকে কয়েকটি ঘরোয়া প্যাক সম্পর্কে বলবো যে প্যাকগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা কপালের নতুন চুল গজিয়ে তুলতে পারবেন। 




ভিটামিন ই ও ক্যাস্টর অয়েলের প্যাক দিয়ে কপালে চুল গজানোর টিপস


চুলের সমস্যায় ভিটামিন ই এর তেল কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং নতুন চুল গজাতে ভিটামিন ই এর জুড়ি মেলা ভার। তাছাড়া চুল পড়া রোধ করতেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 



আর ক্যাস্টর অয়েল চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করে চুলের সঠিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।তাই কপালে সামনে নতুন চুল গজাতে ভিটামিন ই এবং ক্যাস্টর অয়েলের একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। প্রথমে একটি পাত্রে ২ চামচ ক্যাস্টর অয়েল এবং দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে নিবেন।



দুটি উপাদান একসাথে দেওয়া হয়ে গেলে সুন্দর করে মিক্স করে নিতে হবে। তারপরে কপালের যে স্থানে চুল হালকা হয়ে যাচ্ছে বা যে স্থানে চুল গজাতে চান সেই স্থানে ৫-৭ মিনিট আঙুল দিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। এভাবে আপনারা সপ্তাহে তিন থেকে চারবার করতে পারেন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে কপালে নতুন চুল গজাতে শুরু করেছে।




পেঁয়াজের রস এবং ক্যাস্টর অয়েলের প্যাক দিয়ে ছেলেদের কপালে চুল গজানোর উপায়


পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফার যা সাধারণত নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া পেয়াজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার ত্বক থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে এবং স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে মাথায় নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাতে শুরু করে। 


তাই নতুন চুল গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস এবং ক্যাস্টর অয়েলের প্যাক তৈরি করা যেতে পারে। প্রথমে একটি পেঁয়াজ ব্লেড করে নিয়ে তার রস বের করে নিয়ে একটি পাত্রে রাখতে হবে।তারপর এর সাথে ২ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল দিতে হবে। এবার দুইটা উপাদানই সুন্দরভাবে মিক্স করে নিতে হবে এবং চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগাতে হবে এবং মাসাজ করতে হবে।



কপালের যে স্থানে চুল গজাতে চান সেই স্থানে বেশি করে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুতই আপনার কপালের সামনে নতুন চুল গজানো শুরু হবে এবং চুল পড়া রোধ হবে। 



নতুন চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে 


কপালের সামনে নতুন চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে বা কত দিনের মধ্যে এর রেজাল্টটা আপনারা দেখতে পারবেন সেটা নিয়ে আলোচনা করা যাক। কপালের সামনে চুল সাধারণত আমাদের অযত্নের কারণে পড়ে থাকে।



যারা সাধারণত চুল পিছনে ঘুরিয়ে থাকেন তাদের ধীরে ধীরে কপালের সামনের দিকের চুল পড়ে যেতে থাকে। আর এই পদ্ধতিতে যারা চুলের যত্ন নেন না তাদের চুল অনেক বেশি করে থাকে এবং আস্তে আস্তে কপাল ছোট হয়ে থাকে।



তাই যদি অপুষ্টির কারণে চুল পড়ে থাকে এবং শরীরের যদি কোন ধরনের সমস্যা না থেকে থাকে তাহলে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে কপালের সামনে নতুন চুল গজাবে।



অন্য পোস্টঃটাক মাথায় চুল গজানোর প্রাকৃতিক উপায় 


শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় বা কিভাবে খুব দ্রুতই কপালে সামনে নতুন চুল গজাতে পারবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন।তাই যদি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী চলতে পারেন এবং উক্ত ঘরোয়া প্যাক গুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুতই আপনার কপালে সামনে নতুন চুল গজাতে শুরু করবে। 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post