ফলিক এসিড হচ্ছে এক ধরনের ভিটামিন ট্যাবলেট। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আজকের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা, ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেলে কি হয়,ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাকঃ-
অন্য পোস্টঃনরমেন্স ট্যাবলেট এর কাজ কি এবং খাওয়ার নিয়ম
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা
ফলিক এসিড ট্যাবলেট হচ্ছে এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেটকে সাধারণত ভিটামিন বি নাইন ট্যাবলেটও বলা হয়ে থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভের সন্তানের সুস্থতার জন্য ফলিক এসিড ট্যাবলেট খুবই কার্যকরী। আর অনেক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শুধু গর্ভবতী নারী রানী নয় গর্ভবতী হওয়ার আগে নারীদের এই ট্যাবলেট ব্যবহার করা উচিত। ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ-
➡️ফলিক এসিড ট্যাবলেট ডিএনএ গঠন কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া এটি ক্রমাগত কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই গর্ভবস্থায় নবজাতকদের জন্য ফলিক এসিড ট্যাবলেট খুবই কার্যকরী।
➡️ফলিক এসিড লোহিত রক্তকণিকা এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে শিশু থেকে শুরু করে পূর্ণবয়স্ক সকলেরই প্রয়োজন। ফলিক এসিড পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বলে এটি চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন এর মত শরীরে মজুদ থাকার কোন সুযোগ নেই। তাছাড়া ফলিক এসিডকে ফোলেট নামেও অভিহিত করা হয়।
➡️আমাদের শরীরে যখন ফলিক এসিডের ঘাটতি হয় তখন আমাদের শরীরে হোমোসিসটিন নামক এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ মজুত হতে থাকে। আর এর কারণে আমাদের হুদ রোগের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় তখন ফলিক এসিড গ্রহণে উপকারিতা পাওয়া যায়।
➡️ফলিক এসিড রক্তনালীর নমনীয়তা কমিয়ে থাকে, যার মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিকভাবে অক্সিজেন পৌঁছে থাকে।
➡️ফলিক এসিড বিষন্নতা,ডাইমেনসিয়া সহ আরো অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেলে কি হয়
আপনারা আগেই জেনেছেন যে ফলিক এসিড হচ্ছে এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের খাওয়ানো হয়ে থাকে নবজাতকদের সঠিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য। অর্থাৎ নবজাতক সন্তানের যেন কোন ধরনের পুষ্টির ঘাটতি না হয় সেই দিক বিবেচনা করেই গর্ভবর্তী মায়েদের এই ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়ে থাকে।
তাছাড়া বিষন্নতা যাদের রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও অনেক সময় ফলিক এসিড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া ফলিক এসিড রক্তশূন্যতা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে অবশ্যই এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন যে ফলিক এসিড আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ফলিক এসিড ট্যাবলেট আমাদের শরীরের জন্য উপকারী সেটাতো ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন। এবার অবশ্যই ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরী। কেননা সঠিকভাবে যদি কোন কিছু সেবন না করেন তাহলে কোনোভাবেই এর সঠিক উপকারিতা পাবেন না। সন্তান জন্ম দেওয়ার অন্তত এক মাস আগে থেকে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড বড়ি প্রতিদিন খাওয়া উচিত। আর এটি অবশ্যই প্রথম তিন মাস পর্যন্ত খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে তাহলে সঠিক উপকারিতা পাওয়া যাবে।
অন্য পোস্টঃমাত্র ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায়
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেলে কি হয়
অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শুধুমাত্র গর্ভাবস্থায় নাই গর্ভবস্থার আগেও একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর ফলিক এসিড ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত। তাহলে তার শরীরে আর ভিটামিন বি এর ঘাটতি থাকে না। তাছাড়া যখন সে গর্ভবতী হবে তখন এই ট্যাবলেট অবশ্যই খেতে হবে তার নবজাতক সন্তানের সঠিক সুস্থতার জন্য। তাহলে এই বিষয়ে আর হয়তো বুঝতে বাকি নেই যে গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেলে কি হয় বা কি হতে পারে।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত বা ফলিক এসিড ট্যাবলেট কত টাকায় পাওয়া যায় এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। দেখুন ওষুধের দাম কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে।তাই নির্দিষ্টভাবে ফলিক এসিডের দাম এখন বাজারে কততে পাওয়া যাচ্ছে সেটা আপনারা সরাসরি কোনো একটি ফার্মেসি থেকে জেনে নিতে পারবেন। ফলিক এসিড ট্যাবলেট কিভাবে খেতে হবে এবং কিভাবে খেলে এর সঠিক উপকারিতা টা পাবেন তাদের কাছে আপনি পরামর্শও নিতে পারেন।
শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম এবং ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তার পরেও যদি কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্ট করে জানাতে পারেন।