ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের আর্টিকেলে।বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড(DBBL) প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটি নানাবিধ সুযোগ সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পেয়েছে বিশ্বস্ততা এবং জনপ্রিয়তা। অন্যান্য খাতের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে আর্থিকভাবে অসচ্ছল মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে ব্যাংকটি।
ডাচ বাংলা ব্যাংক মূলত ১৯৯৭ সালের দিকে গরীব এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর বিপুল পরিমান শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে ব্যাংকটি। যদি আপনিও একজন মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী হোন কিন্তু আর্থিক অসচ্ছল হওয়ার জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাহলে আপনিও আবেদন করতে পারবেন এই বৃত্তির জন্য।
কখন এবং কিভাবে এই শিক্ষা বৃত্তি পেতে পারবেন বা এই বৃত্তি পেতে কি কি রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে, কারা পাবেন এই বৃত্তি ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আপনাদের পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিবো। চলুন তাহলে মূল বিষয়ে আসা যাক।
ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২২
এতক্ষণে নিশ্চই আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তির ব্যাপারে কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন। এখন কথা হলো, এই শিক্ষাবৃত্তি মূলত কাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। কারা পারবে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে? চলুন বিষয়গুলো ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।
ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২২ যোগ্যতা
প্রতি বছরই সদ্য এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় মেধাক্রমে উত্তীর্ণ হয়ে এইচএসসি শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে এই শিক্ষা বৃত্তির আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই এসএসসি সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এইচএসসি শ্রেণীতে অধ্যয়নরত থাকতে হবে। এবং অবশ্যই জিপিএ ৫ থাকতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত স্কুল, জেলা শহরের অন্তর্গত স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে জিপিএ ৫ লাগলেও গ্রামীণ বা অনগ্রসর অন্ধকার স্কুল গুলোর ক্ষেত্রে জিপিএ ৪.৮৩ হলেই সে আবেদন করার সুযোগ পাবে। আশা করছি বিষয়টা বুঝতে পেরেছে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২২ এর নিয়মনীতি
যেকোনো ধরনের শিক্ষাবৃত্তি বা উপবৃত্তির কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম নীতিমালা থাকে। যেগুলো আবেদনকারীদের অবশ্যই মেনে নিতে হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংক কতৃক প্রদান করা এই বৃত্তি পেতে হলে আপনাকে তাদের বৃত্তির নীতিমালা সম্পর্কে জানতে হবে। নিচে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫ থাকতে হবে এবং গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জিপিএ ৪.৮৩ থাকতে হবে।
আবেদনকারী সরকারি যেকোনো বৃত্তি ছাড়া অন্যান্য কোনো উৎস থেকে যেকোনো ধরনের বৃত্তি পেয়ে থাকলে তিনি আবেদনের জন্য যোগ্য বলে গণ্য হবেন না।
গ্রামের বা অনগ্রসর এলাকার স্কুল গুলোর ক্ষেত্রে শিক্ষাবৃত্তি এর প্রায় ৯০ ভাগ নির্ধারিত করা থাকবে, এবং মোট শিক্ষা বৃত্তির ৫০ ভাগ প্রদান করা হবে ছাত্রীদের মাঝে।
আবেদনকারীকে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে, বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ্য শেষ তারিখের মধ্যে আবেদন কার্য শেষ করতে হবে।
আবেদন করতে যা যা লাগবেঃ
১. আবেদনকারী শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট সাইজের স্ক্যান করা রঙিন ছবি।
২. আবেদনকারীর বাবা মায়ের পাসপোর্ট সাইজের ছবি। (স্ক্যানসহ)
৩. এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং প্রশংসা পত্রের স্ক্যান করা কপি।
মূলত সব ধরনের শিক্ষা বৃত্তির আবেদন করার ক্ষেত্রে এই কয়েকটি ডকুমেন্টস বেশি প্রয়োজন হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে বৃত্তির আবেদন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বাড়তি ডকুমেন্টস এর কথা উল্লেখ থাকতে পারে। আবেদনের সময় সে অনুযায়ী আবেদন কার্য সম্পাদন করতে হবে।
প্রতি বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক এই শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে। যদিও এই বছরের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের কার্যক্রমটি কিছুদিন আগে কার্যকর হয়েছে। তবে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি আসা মাত্রই সেটি আমাদের সাইটে প্রকাশ করা হবে।
পরিশেষে, আজকে আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি এর যোগ্যতা, নিয়ম,রিকোয়ারমেন্ট সম্পর্কে জেনে নিলাম। আশা করছি এরপর থেকে বৃত্তির আবেদনের ক্ষেত্রে আপনি সবকিছু সহজে করতে পারবেন। তো শেষ করছি আজকের আর্টিকেলটা, কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করবেন।