কলা খাওয়ার উপকারিতাঃকলা হচ্ছে প্রকৃতির অসাধারণ একটি ফল।কলার ভিতরে বিদ্যমান থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে থাকে। কাঁচা কলা থেকে শুরু করে পাকা কলা সব ধরনের কলাতেই বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কলার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে:-
কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা খাওয়ার অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে কিছু উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বলা হলোঃ-
➡️কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে।
➡️নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে অবসন্নতা ও দুর্বলতা দূর হয়ে থাকে।
➡️কলা টেস্টোরোন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে।
➡️কলার ভিতরে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে থাকে।
➡️কলা পেট পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।
➡️কলা আমাদের শরীরে পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে থাকে।
কলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
অনেকে কলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানেন না। কলা কিছু সময়ে খেলে শরীরের কার্যকরী উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।সকালে খালি পেটে কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।অর্থাৎ সকালে খালি পেটে যদি কলা খান তাহলে তেমন উপকারিতা পাবেন না। তবে সকালে কিছু খাওয়ার পর আপনারা নাস্তার সাথে কলা খেতে পারেন।
সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
সঠিক সময়ে যদি এই অসাধারণ ফলটি আপনারা খান তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরের জন্য কার্যকারী উপকারিতা পাবে।সকালে অর্থাৎ খালি পেটে কলা না খাওয়াটাই উচিত। খালি পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতা তেমন নেই বললেই চলে। তবে আপনারা ব্রেকফাস্টের সময় হালকা কিছু খাওয়ার সাথে কলা খেতে পারেন। এতে করে আপনারা সকালে কলা খাওয়ার সঠিক উপকারিতা পাবেন।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলাতে থাকা বাড়তি এনার্জি আমাদের শরীরের শক্তির জোগান দিয়ে থাকে।নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।
রাতে কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে তেমন একটা ভালো নয়। তবে আপনারা বিকালের পর জিম করে সাইলেন্ট শরীরকে তৎক্ষণাৎ শক্তি সরবরাহ করার জন্য কলা খেতে পারেন। যেহেতু কলাতে বাড়তি এনার্জি থাকে তাই ঘুমানোর আগে কলা খাওয়া উচিত নয়।তাই সন্ধ্যার পর কলা না খাওয়াই উচিত।
কলার বিভিন্ন জাত এবং এর উপকারিতা
কলার ভিতরে বিভিন্ন জাত রয়েছে এবং সকল ধরনের কলাই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।নিচে এইসকল কলার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু বলা হলোঃ-
বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা/কাচ কলা খাওয়ার উপকারিতা
বিচি কলার সাধারণ কলার থেকে অনেকটা মোটা মোটা এবং ছোট হয়ে থাকে। আপনারা বিচি কলা তে কিছু দেখতে পারবেন যার মাধ্যমে এটা শনাক্ত করা যায়।
বিচি কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি যা আমাদের শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে থাকে। শরীর দুর্বল হলে বিচি কলা খাওয়া যেতে পারে। বিচি কলা শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।
সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলার ভিতর সবরি কলা এটা আরেকটি জাত।সবরি কলা অনেকে খেতে পছন্দ করে থাকেন। সবরি কলা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এবং নানা ধরনের রোগ থেকে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত সবরি কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা
কল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। আর সাগর কলা ও তার মধ্যে অন্যতম। কলাতে থাকা বিদ্যমান সব ধরনের উপাদান এর মধ্যে বিদ্যমান। তাই শরীরের সঠিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত সাগর কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা
সাধারণত এই কলা অনেকটা দেশি কলার মতই। এই কলাগুলো কাঠালি আকারের হয়ে থাকে।এই কলা নিয়মিত খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত যাবতীয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে শরীরকে দূরে রাখা যায়।তাছাড়া কাঁঠালি কলার আরো অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে।
শেষ কথা, কলা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অসংখ্য। কলা আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে। তাই সঠিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।