ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বের করার নিয়মঃবর্তমান সময়ে যারা নতুন ভোটার হয়ে থাকেন তারা অনেকেই ভোটার এলাকার নাম এবং তাদের ভোটার নাম্বার বের করতে চান। কিন্তু তারা সঠিকভাবে জানেন না যে কোন উপায়ে তারা এই কাজটি করবেন।আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে ভোটার এলাকার নাম এবং নাম্বার বের করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করুবো।তাহলে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাকঃ-
ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বের করার জন্য যা যা প্রয়োজন
আপনি যদি নিজের ভোটার এলাকার নাম এবং নাম্বার বের করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে। ভোটার আইডি কার্ড যদি না হয়ে থাকে তাহলে ভোটার স্লিপ নম্বর লাগবে। ভোটার স্লিপ নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
অন্য পোস্টঃঅনলাইনে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বের করার নিয়ম (voter alakar number)
আমি আপনাদেরকে এবার খুব সহজভাবে বলব কিভাবে আপনারা শুধুমাত্র ভোটার স্লিপ দিয়ে খুব সহজেই ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার বের করবেন। এই জন্য আপনাদেরকে সরাসরি বাংলাদেশ এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার বা ভোটার স্লিপ ব্যবহার করে খুব সহজেই বের করতে পারবেন।আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো:-
➡️প্রথমে আপনাদেরকে এই https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/voter-info লিঙ্কটি ব্যবহার করে সরাসরি উক্ত ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে।
➡️এবার আপনি প্রথমে একটি ঘর দেখতে পারবেন এখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার বা ভোটার স্লিপ নাম্বার প্রদান করতে হবে।
➡️তারপরে নিচে জন্মতারিখের ঘর দেখতে পাচ্ছেন এখানে আপনার জন্ম তারিখটি প্রদান করতে হবে।
➡️সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে আপনাকে ক্যাপচা পূরণ করার জন্য বলা হবে ক্যাপচাটি পূরণ করার পরেই ভোটার নাম্বার এর যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন।
অন্য পোস্টঃঅনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন
ভোটার নাম্বার কেন বের করবেন(voter number check)
ভোটার নাম্বার খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সময়ে অবশ্যই দেখবেন ভোটার নাম্বার এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। ভোটার নাম্বার ছাড়া কেউ ভোট দিতে পারেন না। তাছাড়া ভোটার নাম্বারটি যদি থেকে থাকে তাহলে আইডি কার্ড হারিয়ে গেলেও সেটির নতুন করে আবার বের করা সম্ভব।
আর এই কারনেই ভোটার নাম্বার এর সঠিক গুরুত্ব রয়েছে।তাছাড়া যারা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে থাকেন তাদের ভোটার এলাকা পরিবর্তন হয়েছে কিনা সেটা চেক করার জন্য ভোটার নাম্বার এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
তাই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে ভোটার নাম্বার টি কিভাবে বের করবেন সেটা জানা অবশ্যই জরুরি। কেননা ভোটার নাম্বার আমাদের অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে থাকে।আশাকরি ভোটার নাম্বার কেন বের করবেন সেটা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
অন্য পোস্টঃমোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
ভোটার তালিকা থেকে ভোটার এলাকার নাম এবং নাম্বার সংগ্রহ
আপনি যদি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি কোন না কোন এলাকার ভোটার। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে উক্ত এলাকার ভোটার তালিকা প্রদান করা হয়ে থাকে।আপনাদের এই জন্য ভোটার স্লিপ নাম্বার এর প্রয়োজন হবে।উক্ত ভোটার তালিকা থেকে ওয়ারড বাছাই করে খুব সহজেই আপনার ভোটার নাম্বারটি বের করে নিতে পারবেন।
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার বের করার নিয়ম (voter number download)
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার বের করার জন্য ভোটার তালিকার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সব এলাকায় ভোটার তালিকা দেওয়া হয়ে থাকে।
তাই আপনারা চাইলে সেখান থেকে খুব সহজেই ভোটার সিরিয়াল নাম্বারটি বের করে নিতে পারবেন এবং ভোট দিতে পারবেন। কেননা আপনার কাছে যদি ভোটার সিরিয়াল নাম্বার না থেকে থাকে তাহলে কোনভাবেই ভোট দিতে পারবেন না।ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার যদি ভোটার লিস্টে নাম থেকে থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি একটি বৈধ ভোটার সিরিয়াল নাম্বার পেয়ে যাবেন। আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
অন্য পোস্টঃভোটার লিস্ট ডাউনলোড করবেন যেভাবে জেনে নিন উপায়
শেষ কথা,ভোটার এলাকার নাম এবং নাম্বার বের করা খুবই জরুরী। আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই এই নাম্বারগুলোর প্রয়োজন হয়ে থাকে।যারা ভোটার এলাকার নাম ও নাম্বার জানতেন না আশা করি আজকের এই পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে তাদের সমস্যাটার সমাধান হয়েছে। তার পরেও যদি কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।