যোগ কাকে বলেঃ অংক সাবজেক্ট টা বরাবরই একটু কঠিন। বিশেষ করে ছোটবেলাতে অংকে সঠিক হিসাব কষতে কষতে অনেকেরই জীবন যায় অবস্থা এমন হওয়ার ঘটনা কম নেই।
অনেকের কাছে অংক বরাবরই কঠিন একটি সাবজেক্ট। তবে অংক কঠিন সাবজেক্ট হওয়া সত্ত্বেও অনেকে আছেন যারা অংক করতে খুব ভালোবাসেন।
কেউ কেউ অংক সাবজেক্ট টা করে খুব বেশি মজা পেতেন আবার কেউ কেউ এই সাবজেক্টটা কে এড়িয়ে যেতে চাইতেন। অংকের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পাট হচ্ছে যোগ। যোগ অংক গুলি খুবই সহজ এবং অনেকেই এটা খুব ভালোভাবে করতে পারে।
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কি বা কাকে বলে এই সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে। তাহলে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক:-
যোগ কি
যোগ কাকে বলে আমি আপনাদেরকে আজকে খুব সহজভাবে বুঝাবো। দুইবা দুইয়ের অধিক সমান বা অসম্মান সংখ্যাকে যখন একত্রে একটি সংখ্যা এ পরিণত করা হয় তখন তাকে যোগ বলে। আর যোগের সংগ্যা হচ্ছে,যোজ্য+ যোজক =যোগফল
আমাদের প্রাথমিক অংক শাস্ত্রের একটু হিসাব করলে দেখবেন চারটি মৌলিক প্রতীক রয়েছে। তার মধ্যে যোগ হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বাকি তিনটি হচ্ছে বিয়োগ, গুন এবং ভাগ। বিয়োগকে যোগের বিপরীত সংখ্যা বলা হয়ে থাকে।
আরো দেখুন
যোগের বৈশিষ্ট্য বা গঠন
আমি আপনাদেরকে এতক্ষণে বললাম যোগ কাকে বলে সেই সম্পর্কে। তবে আপনারা কি কেউ জানেন যে যুগের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যুগের সেই বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক:-
➡️যোগ করার ক্ষেত্রে যদি যোজ্য কিংবা যোজক স্থান পরিবর্তন করে বসে তবে যোগফলের কোনো রকম পরিবর্তন হয়না। আর এই ক্ষেত্রে যোগফল একই রকম থাকে। যেমন:৩+৪=৪+৩
➡️যোগফল কিন্তু সকল সময়ই যোজ্য অথবা যোজক এর থেকে বড় হয়ে থাকে।
➡️দুইটি পূর্ণ সংখ্যা দ্বারা যদি যোগ করা যায় তাহলে যোগফল কিন্তু পূর্ণসংখ্যা হয়ে থাকে।
➡️অনেক সময় যোগফল যুদ্ধ এবং যোজক এর সমান হয়ে থাকে।
আশা করি আপনারা এই যোগের কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ইতিমধ্যে ধারণা পেয়ে গিয়েছিল। এবং যোগ সম্পর্কেও জেনে গিয়েছেন যে যোগ কাকে বলে।
শেষ কথা, অংক সাবজেক্ট এর মধ্যে যদি সবথেকে সহজ কোন অংক থাকে সেটি হচ্ছে যোগ অংক। অনেকে যোগ অংক গুলো করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন। তাই সাধারণত যোগ করতে ছোটবেলায় অনেক মজা অনুভব করতো।