মাসল বানানোর উপায়ঃমাসল বানাতে আমরা সকলেই চাই।কিন্তু আমরা কয়জনইবা মাসল তৈরি করতে পারি।মাসল তৈরি করার জন্য যেমন একদিকে আমাদের লাগে অনুশীলন তেমনি খেতে হবে স্বাস্থ্যকর সব খাবার।
আর শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে আপনাকে অনুশীলন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে হবেনা আপনার লক্ষ্যটাও সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে বলবো আপনারা কিভাবে সঠিক নিয়মে মাসল বানাতে পারবেন সেই সম্পর্কে।
আপনারা যদি সঠিকভাবে এই নিয়মগুলো অবলম্বন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনারাও মাসল বানাতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক মাসল বানানোর উপায়ঃ
বুকের মাসল বাড়ানোর উপায়
পুশ আপ করতে হবে
বুকের মাসল বানানোর জন্য পুশ আপ হতে পারে আপনার জন্য দারুন একটি ব্যায়াম।আপনি চাইলে নিয়মিত পুশ আপ করার মাধ্যমে খুব সহজেই বুকের মাসল বানাতে পারেন।
আপনাকে বুকের মাসল বানানোর জন্য প্রতিদিন সকালে পুশ আপ করতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে পুশ আপের পর। আপনি যদি কয়েক দিন বা প্রতিদিন এভাবে করতে পারেন তাহলে কিছুদিন পর এর উপকারিতা আপনি নিজে নিজেই বুঝতে পারবেন।
বুকের মাসল বাড়ানোর জন্য আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে মাঝেমধ্যে।
ডাম্বেল তুলতে হবে
বুকের মাসল বৃদ্ধি করার জন্য ডাম্বেল তুলা হচ্ছে দারুন একটি ব্যায়াম। এই ক্ষেত্রে আপনাকে দুই হাতে দুটি ডাম্বেল নিয়ে উঠানামা করতে হবে প্রতিদিন সকালবেলা বা ভোরবেলা উঠে।
আপনি এইভাবে ২০ থেকে ২৫ ভাগ করতে পারেন বা আপনার শরীরের সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি এই ব্যায়ামটি করতে পারেন।তবে কখনই আপনি শরীরের সামর্থের বাইরে এই ব্যায়ামটি বেশী করে করতে যাবেন না তাহলে এতে আপনার শরীরের আরো ক্ষতি হবে।
এই ব্যায়ামটি যেহেতু অধিক ক্যালরি খরচ করায় তাই এই ব্যায়াম শেষ করার পর অবশ্যই পুষ্টিসমৃদ্ধ বা প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন ছোলা, ডিম, দুধ আপনারা চাইলে এই খাবারগুলো খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের সঠিক ক্ষয় পূরণ হয়ে যাবে এবং আপনার মাসলও বৃদ্ধি পাবে। মাসল বানানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটিও দারুণ একটি উপায়।
হাতের মাসল বানানোর উপায়
আমরা যেমন চাই বুকের মাসল বৃদ্ধি করার জন্য তেমনি হাতের মাসল বৃদ্ধি করার জন্য আমরা অনেক কিছু করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা মাসল বানানোর সঠিক উপায় সম্পর্কে জানে না যার ফলে আমরা অনেক কিছু করে থাকি কিন্তু মাসল বৃদ্ধি হয় না।
ভারোত্তোলন এর ব্যায়াম করতে হবে
হাতের মাসল বৃদ্ধি করার জন্য ভারোত্তোলনের ব্যাংকটির খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত এই ব্যায়ামটি আপনারা নিয়মিত করার ফলে খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা এর পরিবর্তন টা নিজে থেকে দেখতে পারবেন।
নিয়মিত যদি ভারোত্তোলনের ব্যায়াম গুলো আপনারা করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনারা আপনাদের হাতের মাসল বানাতে পারবেন এবং আপনাদের ফিটনেসকে আরো অনেক আকর্ষণীয় করতে পারবেন অন্যদের কাছে।
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার শরীরের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হবে।কোন সময় অতিরিক্ত কিছু করা যাবে না কেননা অতিরিক্ত তাই করবেন তাতে আপনার শরীরের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে।
আর এই ভারোত্তোলনের ব্যায়ামের যেহেতু অনেক ক্যালোরি খরচ হয়ে থাকে তাই অবশ্যই এই প্রেম করার পর পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। তাহলে আপনারা এর সঠিক উপকারিতা টা পাবেন।
নিয়মিত পুশ আপ করতে হবে
পুশ আপ হল দারুন একটি ব্যায়াম। পুশআপ এই ব্যায়ামটি আপনাকে হাতের এবং বুকের মাসল বানানোর জন্য খুবই কার্যকারী একটি ব্যায়াম।
আপনারা চাইলে নিয়মিত পুশ আপ করার মাধ্যমে খুব সহজেই হাতের এবং বুকের মাসল বানাতে পারবেন।
নিয়মিত পুশ আপ করার ফলে আপনারা যেমন আপনাদের শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখতে পারবেন তেমনি আপনাদের হজমশক্তিও ঠিক থাকবে এর ফলে। আর যারা সাধারণত মাসল বানানোর উপায় গুলো নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা এই উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন।
প্রতিদিন সকালে আপনি ঘুম থেকে উঠে কিছু হালকা খাবার খাওয়ার ফলে ২০ থেকে ২৫ বা আপনি যতবার পারেন নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পুশ আপ করতে পারেন।তবে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যমাত্রা আপনাকে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
আপনাকে এমন করলে হবেনা যে পাঁচ দিন পুশআপ করলেন আর পাঁচ দিন পুশ আপ করলেন না। তাহলে আপনি এই পরিবর্তনটা দেখতে পারবেন না।
তাই প্রতিদিন নিয়মিত পুশ আপ করার পর পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার খাবেন এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে গ্রহণ করবেন দেখবেন কিছুদিন পর আপনার মাসল বেড়ে গিয়েছে।মাসল বানানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটিও দারুণ একটি উপায়।
মাসল বানানোর ক্ষেত্রে কিছু টিপস
আপনি শুধু ব্যায়াম করে যাবেন আর খাবার খেয়ে যাবেন তা করলে কিন্তু আপনার মাসল বৃদ্ধি পাবে না। আপনি যাই করুন না কেন অবশ্যই আপনাকে রুটিনমাফিক করতে হবে।যেমনঃ
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে
মাংস পেশি বাড়ানোর জন্য বা মাসল বৃদ্ধি করার জন্য শুধু যে ব্যায়াম করতে হবে তা কিন্তু নয় আপনাকে এর জন্য সঠিক এবং সময়মত বিশ্রামও নিতে হবে ।
আর আপনাকে যদি পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হয় তাহলে অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে পরিপূর্ণ ঘুম দিতে হবে।কেননা আমরা যখন ব্যায়াম করে থাকে তখন আমাদের শরীরের ওপর অনেক ধকল যেয়ে থাকে তাই শরীরকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম দেয়ার জন্য এই সময় ঘুমের খুবই প্রয়োজন। তাই অবশ্যই আট ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে নিয়মিত।
পর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে
আপনারা তো এতক্ষণে মাসল বানানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানলেন তাহলে এতক্ষণে এইটাও বুঝে গিয়েছেন যে মাসল বৃদ্ধি করার জন্য খাবারের গুরুত্ব ঠিক কতটা বিশেষ করে প্রোটিনের গুরুত্ব।
আমাদের শরীরের মাংসপেশি গঠন করার জন্য ব্যায়াম যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ সঠিক পুষ্টিকর খাবার। ব্যায়াম করার ফলে শরীরে যে পুষ্টির ঘাটতি হয়ে থাকে আমরা যদি সঠিক খাবার না খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীরে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
তাই এই কারণেই মূলত শরীরের বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
ধৈর্য থাকতে হবে
আপনাকে একটা বিষয়ে সকল সময় মনে রাখতে হবে যে আপনি আজকে ব্যায়াম করলেন আর কালকে আপনার মাসল বৃদ্ধি হয়ে যাবে এমনটা কিন্তু কোন সময়ই হবে না।
আপনারা হয়তো এটা জানেন যে স্বল্প সময়ে নয় দীর্ঘ দিনের অনুষ্ঠান করার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে শক্ত-সামর্থ্য শরীর। তাই মাসল বাড়ানোর উপায় গুলো যখন আপনারা জেনে গিয়েছেন তাই এই ক্ষেত্রে আর তাড়াহুড়া করলে হবে না।
আপনাকে ধৈর্য ধরে নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে তাহলে একসময় দেখবেন আপনার মাসল ঠিকই বৃদ্ধি পাচ্ছে।তাই কোন সময় কোন কাজ শুরু করার আগে তাড়াহুড়া করবেন না এতে আরও হিতে বিপরীত হতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
আমরা মাসল বৃদ্ধি করার জন্য অনেকে অনেক রকম উপায় অবলম্বন করে থাকে।কেউ কেউ বড় বড় কোম্পানির অনেক ধরনের হারবাল প্রোডাক্ট খেয়ে নিজের শরীরের ক্ষতি করে থাকেন।
আপনারা চাইলে এই ঘরোয়া কিছু নিয়ম গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই নিজের মাসল বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনারা তো এতক্ষণে জেনে গিয়েছেন মাসল বানানোর উপায় গুলো সম্পর্কে। তাহলে উপরের দেখানো নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যান অবশ্যই আপনার মাসল ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে।