বেকার জীবনের জ্বালা যারা শুধু বেকার তারাই জানে। বর্তমান সময়ে বেকারত্ব যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। পড়াশোনা শেষ করেও ঠিক সময়ে চাকরি পাচ্ছেন না অনেকে। যার ফলে তাদেরকে নানান সমস্যা ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
আপনাকে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন আরো বা চালের মিল থেকে চাল কিনে আনতে হবে পাইকারি দরে। তারপর সেগুলো আপনার দোকানে নিয়ে এসে কাস্টমারদের কাছে খুচরা মূল্যে সেগুলো বিক্রি করতে হবে।চালের ব্যবসার ক্ষেত্রে একি হলো ব্রিক্স মুক্ত একটি ব্যবসা।তাই আপনারা চাইলে চালের খুচরা ব্যবসা করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন।
পরিশেষে, চালের ব্যবসা সব ধরনের লোকেরাই করতে পারবেন।যারা পড়াশোনা শেষ করে বেকার বসে আছেন তারাও ইচ্ছে করলে চালের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং লাভবান হতে পারবেন। তাই দেরি না করে বেকার বসে না থেকে যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং এই ক্ষেত্রে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি ব্যবসা হতে পারে চালের ব্যবসা।
চালের ব্যবসা |
কিন্তু আমরা যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে পারি, তাহলে পড়াশোনা করে চাকরি না পেলেও ব্যবসা করেন আমরা আমাদের জীবন সুন্দরভাবে কাটাতে পারি। আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো চালের ব্যবসা সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চালের খুচরা ব্যবসা কি এবং কিভাবে করবেনঃ
চালের ব্যবসা মূলত অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে আলাদা। চালের ব্যবসা খুব সহজেই করতে পারবেন। তাছাড়া চালের ব্যবসা আপনি সারা বছরই করতে পারবেন।
চালের ব্যবসা মূলত অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে আলাদা। চালের ব্যবসা খুব সহজেই করতে পারবেন। তাছাড়া চালের ব্যবসা আপনি সারা বছরই করতে পারবেন।
চালের ব্যবসার প্রাথমিক প্রস্তুতি?
- প্রথমে আপনাকে বিভিন্ন জাতের কাল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
- আপনাকে ভালো জায়গায় দোকান দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
- বাজারের অন্যান্য চালের ব্যবসায়ীরা প্রতি বস্তা চাল কত করে নিচ্ছে সেই সম্পর্কে প্রতিনিয়ত আপনাকে খোঁজখবর নিতে হবে।
- আপনাদের বাজারের আশপাশে কোনো ধরণের মানুষ বসবাস করেন এবং তাদের চাহিদা কেমন সে সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।
চালের ব্যবসায় পুঁজি কত লাগবে?
সাধারণত অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে এই ব্যবসাতে মূলধন বা পুঁজির অংকটা একটু বেশিই লাগে। আপনি এখানে যত বেশি ইনভেস্ট করতে পারবেন তত বেশি প্রফিট পাবেন। সাধারণত আপনি যদি এক গাড়িতে ৩০০ বস্তা চাল আনেন এবং এর ভাড়া নেবে ৫০০ বস্তা আনলেও সেই ভাড়া নেবে।আপনি সাধারণত কোন ধরনের চাল গাড়িতে লোড করবেন সেটার উপরে উঠার অংকটা নির্ভর করে। আপনি যদি নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই ৫০০ থেকে ১০০ বস্তা চাল নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। আর এতে আপনার খরচ হতে পারে ১.২ থেকে ১.৫ লাখ টাকা।
চাউল কোথা থেকে আনবেন?
আপনি চাইলে প্রথমদিকে কোন পাইকারি জানালার কাছ থেকে ১০ বস্তা ৫ বস্তা করে চাল নিয়ে আসতে পারেন।আপনি যদি তা না করতে চান তাহলে চালের মিল মালিকদের সাথে যোগাযোগ করেন সরাসরি মিল থেকে চাল নিয়ে আসতে পারেন। এতে আপনার লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আরও অনেক বেড়ে যাবে। চালের হোলসেল ব্যবসার ক্ষেত্রে মিল থেকে চাল নিয়ে আসাটা অনেক বেশি লাভজনক।
তাছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন জেলাতে চাল উৎপাদন হয়ে থাকে। চাইলে আপনার জেলার আশপাশের যেসব মিল রয়েছে সেখান থেকে চাল সংগ্রহ করতে পারেন। আপনি যদি সারা বাংলাদেশের মধ্যে চালের পাইকারি বাজার খোঁজেন তাহলে কুষ্টিয়া ও পাবনার চাল অনেক প্রসিদ্ধ। আপনি চাইলে এই সমস্ত জায়গা গুলো থেকে চাল সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে পারেন।
চালের পাইকারি দোকান কোথায় দিবেন?
আপনাকে যদি যেকোনো ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে হয় তাহলে সেই ব্যবসা সম্পর্কে আগে সঠিক পরিকল্পনা করে নিতে হবে।কেননা সঠিক ব্যবসা পরিকল্পনা অনুযায়ী না চললে কখনোই ব্যবসার ক্ষেত্রে সফল হওয়া যাবে না। সঠিক ব্যবসা পরিকল্পনার মধ্যে দোকান দেওয়ার স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই আপনি যদি চালের পাইকারি বা চালের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই এমন একটি স্থানে দোকান দিতে হবে যেখানে প্রচুর মানুষের যাতায়াত রয়েছে। অর্থাৎ আপনি চাইলে বড় কোন বাজারে একটি ভালো স্থান দেখে চালের পাইকারি দোকান দিতে পারেন।
চালের খুচরা ব্যবসা?
আপনি চাইলে চালের খুচরা ব্যবসা করতে পারেন তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটি দোকান দিতে হবে। চালের পাইকারি ব্যবসার চেয়ে খুচরা ব্যবসা তে বেশি পরিমাণে লাভ করা সম্ভব। তাছাড়া এই ব্যবসাটি একটি লাভজনক ব্যবসা পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।আপনাকে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন আরো বা চালের মিল থেকে চাল কিনে আনতে হবে পাইকারি দরে। তারপর সেগুলো আপনার দোকানে নিয়ে এসে কাস্টমারদের কাছে খুচরা মূল্যে সেগুলো বিক্রি করতে হবে।চালের ব্যবসার ক্ষেত্রে একি হলো ব্রিক্স মুক্ত একটি ব্যবসা।তাই আপনারা চাইলে চালের খুচরা ব্যবসা করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন।
চালের ব্যবসায় লাভ কেমন?
চালের ব্যবসায় আপনি কেমন লাভ করতে পারবেন এটা অনেকাংশে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। চালের ব্যবসায় আপনি যদি সঠিকভাবে টিকে থাকতে পারেন তাহলে ভালো পরিমাণে লাভ সম্ভব। আপনি যদি চান পাইকারিভাবে বিক্রি করতে পারেন তাহলে বস্তাপ্রতি আপনার লাভ হতে পারে ২০ থেকে ১০০ টাকা। খুচরা বিক্রি করলেন আপনার বস্তাপ্রতি লাভ হতে পারে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।সাধারণত সব ব্যবসাতেই রয়েছে উত্থানপতন। চালের ক্ষেত্রেও এটা হতে পারে। চালের দাম হুহু করে বেড়ে যেতে পারে আবার কমে যেতে পারে। চালের দাম যদি কোন সময় বেড়ে যায় তাহলে বস্তাপ্রতি আপনার ইনকাম হতে পারে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। আবার যদি কখনো চালের দাম কমে যায় তাহলে আপনার বস্তা প্রতি লস হতে পারে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
চালের পাইকারি ব্যবসায় লাভ কত?
চালের পাইকারি ব্যবসায় লাভ অনেকটা বেশি। যদি সঠিকভাবে চালের পাইকারি ব্যবসাটি করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এই ব্যবসার মাধ্যমে প্রতি মাসে লাভ হতে পারে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা। তবে অবশ্যই এর জন্য বাজারে চালের দাম ভালো পেতে হবে এবং আপনার চালের গুণগত মান ভালো হতে হবে। তাহলেই আপনি শুধুমাত্র চালের ব্যবসা করার মাধ্যমে মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।চালের ব্যবসা করে ক্যারিয়ার গঠন?
অনেকে বলে থাকেন যে চালের ব্যবসা করার মাধ্যমে নাকি ক্যারিয়ার গঠন করা যায় না। যারা সাধারণত এই কথাটা বলে থাকেন তারা অবশ্যই ভুল বলে থাকেন। আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে চালের ব্যবসা ঠিক করতে পারেন।তাহলে অবশ্যই আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমে একজন সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন। আর আপনি যদি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।
চালের দাম | ধান চালের ব্যবসা নিয়ে কিছু কথা?
চালের ব্যবসা শুরু করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে চালের বাজার সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে হবে।অর্থাৎ বর্তমান সময়ে বাজারে চালের দাম কেমন নিচ্ছে এবং আপনি কত টাকায় চাল কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন ও আপনার কত টাকা লাভ হবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রথমেই ধারণা করে নিতে হবে। তাহলে খুব সহজেই আপনারা চালের ব্যবসায় ভালো টাকা লাভ করতে পারবেন।পরিশেষে, চালের ব্যবসা সব ধরনের লোকেরাই করতে পারবেন।যারা পড়াশোনা শেষ করে বেকার বসে আছেন তারাও ইচ্ছে করলে চালের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং লাভবান হতে পারবেন। তাই দেরি না করে বেকার বসে না থেকে যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং এই ক্ষেত্রে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি ব্যবসা হতে পারে চালের ব্যবসা।