তেলের ব্যবসা করার নিয়ম

ব্যবসা কে বলা হয়ে থাকে স্বাধীন পেশা। আপনি এখানে আপনার মন মত যা খুশি তাই করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে মানুষ ব্যবসাকে আরো বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে কেননা এখন আমাদের দেশে চাকরির খুবই সংকট। অনেকেই পড়াশোনা শেষ করার পরও চাকরি পাচ্ছেন না। যার ফলে তাদেরকে বেছে নিতে হচ্ছে নানা ধরনের কাজ। 

তেলের ব্যবসা করার নিয়ম
তেলের ব্যবসা করার নিয়ম

তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঝুঁকছেন ব্যবসাতে।যারা ব্যবসা করতেছেন আমি তাদের জন্য আজকের নতুন একটি ব্যাবসা আইডিয়া নিয়ে আসলাম সেটি হচ্ছে তেলের ব্যবসা। তেলের ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি ভালো লাভবান হতে পারবেন এবং এটি করে আপনি আপনার ক্যারিয়ার ও করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেয়া যাক তেলের ব্যবসা সম্পর্কেঃ

তেলের ব্যবসার প্রকারভেদ?

আপনি চাইলে তেলের ব্যবসা বিভিন্নভাবে শুরু করতে পারেন। কেননা তেলের মধ্যে যেমন প্রকারভেদ রয়েছে তেমনি তেলের ব্যবসা ক্ষেত্রেও রয়েছে প্রকারভেদ। যেমনঃ
  • সরিষার তেলের ব্যবসা 
  • সয়াবিন তেলের ব্যবসা 
  • নারিকেল তেলের ব্যবসা 
  • কেরাসিন তেলের ব্যবসা 
  • পাম্প তেলের ব্যবসা 
তাহলে চলুন এবার ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক এই সকল ব্যবসা সম্পর্কে। 

সরিষার তেলের ব্যবসা?

তেলের ব্যবসার মধ্যে সরিষার তেলের ব্যবসা হচ্ছে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা পদ্ধতি। কেননা  সরিষার তেলের চাহিদা সব সময় রয়েছে। আপনি চাইলে বড় কোন পাইকারি বাজার থেকে সরিষার তেল ক্রয় করে এনে সেগুলো দোকানে দোকানে খুচরা ভাবে বিক্রি করতে পারেন।

তাছাড়া আপনি সরাসরি ঘানি থেকে সরিষা পিশে সরিষার তেল তৈরি করে সেগুলো একটু খরচ করে বোতলজাত করে সেগুলো দোকানে দোকানে দিতে পারেন। এতে করে আপনার লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা টা আরো অনেক বেড়ে যায়। যেহেতু সরিষার তেলের চাহিদা ব্যাপক তাই আপনাকে এ ব্যবসায় লাভের জন্য তেমন বেশি ভাবতে হবে না। তাই আপনি নির্ভয় সরিষার তেলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন।

সয়াবিন তেলের পাইকারি ব্যবসা?

রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সোয়াবিন তেল।যে রান্নায় হোক সোয়াবিন তেল ছাড়া যেন সেই রান্না অসম্পূর্ণ থেকে যায়।তাই সোয়াবিন তেল এর চাহিদার কোন শেষ নেই বলাই চলে।

আপনারা এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সয়াবিন তেলের ব্যবসা করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন।বড় বড় তেলের বাজার থেকে সোয়াবিন তেল সংগ্রহ করে নিয়ে এসে সেগুলো আপনি খুচরা দামে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতে পারেন এবং আপনি ভালো লাভবান হতে পারেন।

সয়াবিন তেলের ব্যবসাটি বর্তমানে লাভজনক ব্যবসা পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তেলের ব্যবসা যদি করতে হয় আপনি সোয়াবিন তেলের ব্যবসা টি করতে পারেন। 

নারিকেল তেলের ব্যবসা?

মেয়েদের রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে নারিকেল তেল। বিশেষ করে মেয়েরা মাথায় ব্যবহার করে থাকে নারিকেল তেল তাই এর চাহিদাও কোন ক্ষেত্রে কম নয়। তাই তেলের ব্যবসার কথা যখন উঠেছে তাই নারিকেলের তেলের ব্যবসাও এই ক্ষেত্রে কার্যকারী হতে পারে।

আপনি তেলের পাইকারি বাজার থেকে নারিকেল তেল সংগ্রহ করে নিয়ে এসে সেগুলো গ্রাম-গঞ্জের দোকানে খুচরা ভাবে বিক্রি করতে পারেন এবং এখান থেকে আপনি লাভবান হতে পারেন।আপনি এই ভাবে নারিকেল তেলের ব্যবসা করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন।

পাম্প তেলের ব্যবসা?

পাম্প তেলের ও খুব চাহিদা রয়েছে আমাদের দেশে। বিশেষ করে রান্নাবান্নার কাজে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর শীতকালে চাহিদা আরো বেশি। তাই আপনি চাইলে একবার পাম তেলের ব্যবসা শুরু করে দেখতে পারেন। 

পাম্প তেলের ব্যবসা করে অতীতে অনেক লাভবান হয়েছেন। আপনি যদি সঠিকভাবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন তাহলে আপনিও এই ব্যবসা করার মাধ্যমে খুব সহজেই লাভবান হতে পারবেন।

কেরোসিন তেলের ব্যবসা?

মূলত আগে তেলের ব্যবসার মধ্যে এই ব্যবসাটি খুবই লাভজনক ছিল।কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে কেরাসিন তেলের ব্যবসা এটি ধীরে ধীরে যেন হারিয়ে যাচ্ছে। কেননা এখন আর মানুষ হারিকেন এবং নম্বর ব্যবহার করে না। এখন সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ যার ফলে কেরোসিন তেলের চাহিদা বর্তমানে অনেক কমে গিয়েছে। 

এককথায় কেরাসিন তেলের চাহিদা তেমন নেই বললেই চলে। তাই এই কেরোসিন তেলের ব্যবসাটি এখন না করলেই ভালো। আপনারা চাইলে এই কেরাসিন তেলের ব্যবসা বাদে অন্যান্য যেসকল তেলের ব্যবসা আইডিয়া গুলো দিলাম সেই ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন। 

তেলের ব্যবসায় লাভ কেমন?

আপনি যদি সঠিকভাবে তেলের ব্যবসা ঠিক করতে পারেন তাহলে আপনি ভালো লাভ করতে পারবেন এই ব্যবসাটি করার মাধ্যমে। কেননা মানুষের তেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে কমছে না। আপনি যদি ভাল তেল সংগ্রহ করে সেগুলো মানুষের কাছে দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই তারা আপনার তেল নিবে এবং ন্যায্যমূল্য আপনাকে দিবে। তেলের ব্যবসা করার আগে আপনাকে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ভালো তেল আপনাকে কাস্টমারদের দিতে হবে। 

আপনি যদি ভাল তেল সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে কাস্টোমারের জন্য আপনার তেমন বেশি বেগ পেতে হবে না এবং আপনি তেল বিক্রির মাধ্যমে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং তেলের ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। তাই আমার মনে হয় তেলের ব্যবসা যদি সঠিকভাবে করা যায় তাহলে এখানে লাভ অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় অনেক বেশি। 

পরিশেষে, তেলের ব্যবসা করা অন্যান্য ব্যবসার থেকে অনেক সহজ। এই ব্যবসা করার ক্ষেত্রে পুঁজি একটু বেশি লাগলেও এটি করার মাধ্যমে ভালো হওয়া যায়। তাই যদি বেকার হয়ে বসে থাকেন আপনারা চাকরি বাকরি না পেয়ে এই তেলের ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন এবং নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। 
Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post