ফলের ব্যবসায় লাভ কেমন | ফলের ব্যবসা করার নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন। আত্মীয় বাড়ি থেকে শুরু করে রান্নাঘরে সবক্ষেত্রেই ফলের বিকল্প কিছু হয় না। আমরা বাঙালি যেন এখনও অনেক ফল প্রিয় মানুষ হয়ে গিয়েছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ফলের ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু সঠিক গাইডলাইন বা দিকনির্দেশনার অভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন না।

ফলের ব্যবসা
ফলের ব্যবসা

আজকের এই আর্টিকেলের আমি আপনাদের সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব যে আপনারা ফলের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন এবং ফলের ব্যবসা তে লাভ কি পরিমান হবে।তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক ফলের ব্যবসায় লাভ কেমনঃ

ফলের ব্যবসার আইডিয়া | Fruit bussiness idea

ফলের ব্যবসার মধ্যে অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে। যেমনঃ ধরুন খুচরা ফলের ব্যবসা, পাইকারি ফলের ব্যবসা, ফলের দোকান দিয়ে ব্যবসা ইত্যাদি এই ধরনের। তাহলে চলুন একে একে জেনে নেয়া যাক এই গুলো সম্পর্কে।

ফলের পাইকারি ব্যবসা?

ফলের পাইকারি ব্যবসা লাভজনক একটি ব্যবসা পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আপনি এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে ফল সংগ্রহ করে সেই ফলগুলো পাইকারি দামে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতে পারবেন। 

আপনি এই ক্ষেত্রে যত বেশি ফল কিনতে পারবেন এবং যত বেশি ফল বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি লাভ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই বলা যায় ফলের পাইকারি ব্যবসার থেকেও ভালো পরিমাণে আয় করা সম্ভব। 

খুচরা ফলের ব্যবসা?

খুচরা ফলের ব্যবসা দ্বারা এখানে বুঝানো হয়েছে আপনি পাইকারি ফলের বাজার থেকে কমসংখ্যক ফল কিনে নিয়ে এসে সেগুলো বাজারে বাজারে বা গ্রামে গ্রামে বিক্রি করে বেড়ানোকে। 

খুচরা ফলের ব্যবসা করেও আপনি দিন ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।তাছাড়া আপনি চাইলে এক্ষেত্রে ফলের জুসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

ফলের দোকান দিয়ে ব্যবসা?

আপনি সরাসরি নিজে একটি ফলের দোকান দিয়ে ফলের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারীভাবে ফল কিনে নিয়ে এসে আপনার দোকানে বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি ভালো পরিমাণে মুনাফা লাভ করতে পারেন।

সাধারণত এই ব্যবসাটি অনেক লাভজনক অন্যান্য ব্যবসার চাইতে। যেহেতু এই ক্ষেত্রে আপনার নিজের দোকান থাকবে তাই আপনার লাভের পরিমাণ টা আরো অনেক বেশি হবে।তাই আপনি চাইলে ফলের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ফলের ব্যবসায় লাভ কেমন?

আপনি যদি ফলের ব্যবসাটি সঠিকভাবে করতে পারেন এবং ব্যবসা বুঝে যান তাহলে এখান থেকে ভালো পরিমাণে লাভ করতে পারবেন।আপনি এই ক্ষেত্রে যত বেশি ফল বিক্রি করতে পারবেন আপনার লাভের পরিমাণ টা ততই বাড়বে। 

ধরুন আপনি ১০০ কেজি আপেল ১৩০ টাকা কেজি দরে বড় কোন পাইকারি বাজার থেকে কিনে আনলেন এবার সেগুলো আপনি বাজারজাতকরণ করলেন ১৬০ টাকা কেজি দরে। তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার লাভ হবে ৩০×১০০=৩০০০ টাকা।

তাহলে আপনার ফল বিক্রির পরিমাণটা যত বৃদ্ধি পাবে আপনার লাভের পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে।তবে অবশ্যই ভালো ফল সংরক্ষণ করতে হবে যাতে কাস্টমাররা আপনার ফল খেয়ে সন্তুষ্ট হয়।ফলের ব্যবসা আপনি যে কোন ব্যবসার পাশাপাশি করতে পারেন। 

ফলের পাইকারি মার্কেট | ফলের পাইকারি বাজার কোথায় 

যারা পাইকারি দামে ফল কিনে আনতে চান তারা চাইলে সরাসরি ঢাকা থেকে ফল কিনে আনতে পারেন। ঢাকার বাদামতলী থেকে আপনারা অনেক কম দামে ফল কিনে আনতে পারবেন এবং এলাকার দোকানে বিক্রি করার মাধ্যমে ভালো টাকা লাভ করতে পারেন। তাই যারা ফলের ব্যবসা শুরু করতে চান তারা বাদামতলী থেকে ফল পাইকারি দামে কিনতে পারেন। 

পরিশেষে, আপনি যদি আমাদের দেওয়া সঠিক গাইডলাইন অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে ফলের ব্যবসা করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসার থেকে আপনি ভালো পরিমাণে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। বর্তমানে ফলের ব্যবসা লাভজনক একটি ব্যবসা পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।তাছাড়া ফলের ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। 

ফলের ব্যবসা শুরু করার আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা?

ফলের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাদেরকে অবশ্যই কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। অর্থাৎ এই বিষয়গুলো মানলে ব্যবসা ক্ষেত্রে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।নিচে পয়েন্ট আকারে এই বিষয় সমূহ আলোচনা করা হলোঃ

১. প্রথমে আপনি যে মাল দিয়ে ব্যবসা করবেন সেই মালের চাহিদা কিরকম সেটা নির্ধারণ করতে হবে. কেননা বাজারে মালের যদি চাহিদা না থাকে তাহলে মাল আপনার দোকানে পড়ে থাকবে এবং এতে করে মাল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।তাছাড়া মূলধন আটকে থাকার কারণে আপনার অনেক কষ্ট হতে পারে। 

২. অবশ্যই টাটকা ফল আপনার কাস্টমারদেরকে সরবরাহ করতে হবে। কেননা টাটকা ফল কাস্টমাররা যদি আপনার কাছ থেকে পাই তাহলে তারা আপনার কাছেই আসবে।

৩. আপনার দোকানে যদি কোন কর্মচারী থেকে থাকে তাহলে তাদেরকে অবশ্যই ক্রেতাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে শিখিয়ে দিতে হবে। 

৪. ব্যবসা ক্ষেত্রে কোন সময় ভেজাল প্রোডাক্ট বিক্রি করা যাবে না তাহলে আপনি কাস্টমারদের আস্থা হারাতে পারেন এবং পরবর্তীতে ব্যবসাতে লসের সম্মুখীন হতে পারেন। 

অর্থাৎ আপনি যখন ফলের ব্যবসা শুরু করবেন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। কেননা ব্যবসা ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে হলে আপনাকে সঠিক ব্যবসা পদ্ধতি অবলম্বন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post