ডিমের ব্যবসা করার নিয়ম

আপনারা হয়তো ডিমের ব্যবসার কথা শুনেছেন। অনেকেই আছেন যারা ডিমের ব্যবসা করতে চান কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে ডিমের ব্যবসা শুরু করতে পারেন না।

ডিম
ডিম

আজকের আর্টিকেলে আমরা শুধুমাত্র তাদের জন্য আলোচনা করব আপনারা কিভাবে ডিমের ব্যবসা শুরু করবেন এবং ডিমের ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

ডিমের ব্যবসা?

ডিমের ব্যবসা বর্তমানে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা পদ্ধতি। ডিমের ব্যবসা করার মাধ্যমে অনেক লোক স্বাবলম্বী হয়েছেন। মূলত পাইকারি রেটে ডিম সেগুলো বিভিন্ন দোকানে বা যে কোন জায়গায় বিক্রি করাকে মূলত বলা হয়ে থাকে ডিমের ব্যবসা। তাহলে এবার আমরা জেনে নেবো ডিমের কয়েকটি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কেঃ

পাইকারি ডিমের ব্যবসা?

সাধারণত এই পদ্ধতিতে কোন বাজার থেকে তিনদিন স্বল্পমূল্যে পাইকারি দামে কিনে নিয়ে এসে সেগুলো গ্রামে-গঞ্জে বা খুচরা ভাবে দোকানে বিক্রি করায় হল পাইকারি ডিমের ব্যবসা। পাইকারি ডিমের ব্যবসা অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা।

পাইকারিভাবে ডিমের ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই লাভবান হতে পারবেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবেন। বর্তমানে অনেকেই গ্রামে-গঞ্জে ভ্যানে করে স্বল্পমূল্যে ডিমের পাইকারি ব্যবসা করে থাকেন।

ডিমের খোসার ব্যবসা?

ডিমের খোসার ব্যবসা কেউ আপনি চাইলে করতে পারেন। এটা খুবই সহজ একটি ব্যবসা পদ্ধতি। ডিমের খোসার অনেক চাহিদা রয়েছে বাজারগুলোতে কেননা ডিমের খোসা দিয়ে এক ধরনের পাউডার তৈরি হয় এবং সেই পাউডারটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

যার ফলে বর্তমানে অনেকে ডিমের খোসার ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছেন এবং লাভবান হচ্ছেন। তাই আপনারা চাইলে ডিমের খোসার ব্যবসাটি খুব সহজেই করতে পারেন। আপনি এক্ষেত্রে মুরগির ডিমের ব্যবসা টি বেছে নিতে পারেন।

অনলাইনে বা ফুটপাতে ডিম বিক্রি?

বর্তমানে আজকালের বাজারগুলো বেশিরভাগই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গিয়েছে।এখন সব ধরনের জিনিসই অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে থাকে।আপনি চাইলে ডিমের ব্যবসা টিম অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারেন আর যদি না করতে চান তাহলে ফুটপাতে ডিম বিক্রির ব্যবসা টি করতে পারেন।

ফুটপাতে ঝুড়িতে করে ডিম বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ করা যায়। আপনি চাইলে এই ক্ষেত্রে সিদ্ধ বা কাঁচা ডিম বিক্রি করতে পারেন।আপনি এইভাবে ডিম বিক্রি করতে পারলে খুবই ভালভাবে ডিম বিক্রি করতে পারবেন এবং লাভবান হবেন। 

ডিমের ব্যবসায় লাভ কেমন?

ডিমের হোলসেল ব্যবসায় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি যদি করতে পারে তাহলে ভালোভাবে লাভবান হতে পারবেন। ধরুন আপনি কোন আরোট থেকে ডিম কিনে নিয়ে আসলেন পাইকারি দামে ১৮০ টাকা। সেগুলো যদি আপনি গ্রামে ৮ টাকা করে পিস বিক্রি করেন তাহলে আপনার ত্রিশটা ডিমে লাভ আসবে ৬০ টাকা। 

তাহলে আপনি এখানে এক খাচি ডিম বিক্রি করার মাধ্যমেই ৬০ টাকা লাভ করতে পারছেন।তাহলে আপনি যদি ৫ খাচি ডিম বিক্রি করতে পারেন আপনার এই ক্ষেত্রে লাভ হবে ৩০০ টাকা। আপনি এই ক্ষেত্রে যত বেশি ডিম বিক্রয় করতে পারবেন আপনার লাভের পরিমাণ টা ততবেশি বাড়তে থাকবে।

তাহলে আপনি খুব সহজেই ডিমের ব্যবসা করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণে লাভ করতে পারছেন এখানে। যেটা আমার মনে হয় অন্যান্য সব ব্যবসার তুলনায় অনেক সহজ একটি প্রক্রিয়া। তাই যারা বলেন ডিমের ব্যবসায় লাভ নেই তারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে ডিমের ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনার লাভের পরিমাণ টা কেমন হতে পারে।

ডিমের ব্যবসা করতে কেমন পুজি লাগে?

ডিমের ব্যবসা শুরু করতে হলে তেমন বেশি পুজির  দরকার হয়না। আপনি খুব কম পুজির মাধ্যমে ডিমের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।পরবর্তীতে যখন আপনি এই ব্যবসা করার মাধ্যমে লাভবান হবেন তখন আপনি চাইলে এখানে পুঁজি আরো বেশি খাটাতে পারেন।

আপনার যদি পুজি খুবই বেশি হয় তাহলে আপনি একটি ভ্যান গাড়ি কিনতে পারেন এবং গ্রামেগঞ্জে সেই ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে ডিম বিক্রি  করতে পারেন।তাছাড়া আপনি চাইলে একটি ডিমের পাইকারি দোকান দিতে পারেন। আর এভাবে আপনি আপনার ডিমের ব্যবসা খুব ভালোভাবেই চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। 

ডিমের ব্যবসা করে কি ক্যারিয়ার করা যায়?

ডিমের ব্যবসা করে ক্যারিয়ার গড়া যায় এই নিয়ে অনেক জনের মতাভেদ  ধরেছে।আসলে ব্যবসা হচ্ছে একটি স্বাধীন পেশা। যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি যদি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে সেই ব্যবসাতে টিকে থাকতে পারেন তাহলে সেই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবন ও ক্যারিয়ার সুন্দরভাবে চালাতে পারবেন।

আর এই ক্ষেত্রে ডিমের ব্যবসা টিউটো হচ্ছে এক ধরনের ব্যবসা। আপনি যদি সঠিকভাবে ডিমের ব্যবসা করতে পারেন এবং এই ব্যবসায় টিকে থাকতে পারেন তাহলে আমি মনে করি অবশ্যই ডিমের ব্যবসা করার মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। কেননা ডিমের ব্যবসা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। 

ডিমের ব্যবসায় ঝুঁকি?

ডিমের ব্যবসার ক্ষেত্রে তেমন বেশি ঝুঁকি নেই বললেই চলে।কিন্তু ডিমের ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে হয় সেটি হচ্ছে পরিবহনের সময় যেন ডিম না ভাঙ্গে। 

কিন্তু এখানে আশংকার ব্যাপার হচ্ছে এটি অনেক সর্তকতা অবলম্বন করার পরেও ৫ পার্সেন্ট ডিম ভেঙে যায়। তারপরেও সকল সময় চেষ্টা করতে হবে যত ডিম কম ভাঙে সেই বিষয়টা খেয়াল রাখতে।

আমাদের শেষ কথা 

আপনি যে ব্যবসায়ী করুন না কেন অবশ্যই আপনার পরিশ্রম করার সক্ষমতা এবং ধৈর্য থাকতে হবে। তাহলে আপনি সেই ব্যবসার মাধ্যমে নিজে সফল হতে পারবেন। কেননা ব্যবসা তো ব্যবসায়ী সে ছোট হোক কিংবা বড়। 

আপনি যদি সঠিক ব্যবসা পদ্ধতি অবলম্বন করে সামনে এগিয়ে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই ডিমের ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি জীবনে সফল হতে পারবেন। 
Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post