টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলের দাম হলোঃ ১২,৪৯০ টাকা।
২০২০ সালের সেপ্টেবার মাসের ২৫ তারিখে বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে অফিসিয়াল ভাবে ৪টিং রঙ সহকারে মুক্তি পায় টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইল।
মহাসাগর নীল, ধূমকেতু কালো, গতিশীল অরাবজি, মিস্টি ভায়োলেট এই ৪টি রঙের মাঝে আপনার পছন্দের একটি বেছে নিতে পারেন এবং এই ৪টি রঙের মোবাইল বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে সচারচর পাওয়া যায়।
টেকনো স্পার্ক ৬ ফিচারিং সমূহ জানুন।
চলুন প্রথমে আমরা টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলের মূল ফিচার সমূহ সম্পর্কে জানি, ২জি,৩লি,৪জি নেটওয়ার্ক (ব্লট), ডোয়াল নেনু সিম কার্ড, ব্লুটুথ, ওয়াই ফাই, হটস্পট, রেডিও, জিপিএস, ইউএসবি, অটিজি ইত্যাদি ফিচার সমর্থন করে স্পার্ক ৬ মোবাইলে।
টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলের বডি স্টাইল পাঞ্চ হলে ও বডি ফ্রেম প্লাস্টিক সামনে গ্লাস মাল্টিটাচ স্ক্রিন, মোবাইলটি ওয়াটারপ্রুফ নয় আর স্পার্ক ৬ মোবাইলের ওজন ১৯২ গ্রাম মাত্র।
এবার আসুন টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলের ডিসপ্লে ও ক্যামেরা সম্পর্কে জানি, টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলের ডিসপ্লে আকার ৬.৬ ইন্সি ও ডিসপ্লে রেজুলেশন ৭২০x১৬৪০ পিক্সেল (২৬৩ পিপিআই), আইপিএস এলসিডি টাচস্ক্রিন, দিসপ্লেতে কোন প্রকার প্রোটেকশন গ্লাস ব্যবহার করা হয়নি।
টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলের পিছনে ৩টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, কোয়াড ১৬+২+২ মেগাপিক্সেল+কিউভিজিএ এবং পিছনের ৩টি ক্যামেরায় পিডিএএফ, কোয়াড-এলইডি ফ্ল্যাশ, এফ/১.৮, ম্যাক্রো, ডিপথ, এইচডিআর ইত্যাদি ফিচারসমূহ ব্যবহার করতে পারবেন। পিছনের ক্যামেরায় আরো একটি বিশেষ ফিচার দেয়া হয়েছে যা হলো কোয়ার্ড এইচডি (১৪৪০পিক্সেল) প্লাস রেজুলেশনের ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে।
টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলের সামনের ক্যামেরা ৮ ম্যাগাপিয়েক্সেল, সামনের এই ক্যামেরা দিয়ে যেসকল ফিচারসমূহ ব্যবহার করতে পারবেন এফ/২.০, ডুয়াল এলইডি ফ্ল্যাশ, এইচডিআর ফিচারিং সিস্টেম ও এই ক্যামেরার মাধ্যমে ফুল এইচডি (১০৮০পিক্সেল) প্লাস রেজুলেশনের ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন।
টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলে অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে দেয়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১০ (এইচআইএস ৭.০), প্রসেসর অক্টা-কোর, ২.০ জিএইচজেড, চিপস্টে মিডিয়াটেক হ্যালিও জি৭০, জিপিইউ দেয়া হয়েছে ম্যালি জি-৫২, র্যাম ৪জিবি ও রোম ১২৮জিবি আপনি চাইলে এই মোবাইলটিতে ২৫৬জিবি ডেডিকেটেড স্লট মেমোরি কার্ড ব্যবহারও করতে পারবেন।
টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলটিতে ব্যাটারি হিসাবে লিথিয়াম-পলিমার ৫,০০০ এমএএইচ (অপসারণযোগ্য নয়) একটি শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে এবং মোবাইলটি দ্রুত চার্জ হওয়ার জন্য ১৮ওয়ার্ডের একটি ফাস্টিং চার্জ সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে তবে আপনি এই মোবাইলটির বক্সে ১০ওয়ার্ডের চার্জার পাবেন।
টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলে ৩.৫ এমএম জ্যাক লাউড স্পিকার এবং সিকিউরিটির জন্য মোবাইলটির পিছনে ফিংগারপ্রিন্ট ও সামনে ফেইস লক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে আর সেন্সর হিসাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, অ্যাক্সিলারোমিটার, প্রক্সিমিটি সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে।
টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলের দাম হলোঃ ১২,৪৯০ টাকা।
টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলের ভালো দিক
৪জি নেটওয়ার্ক, অটিজি, ৪টি রঙ, ৬.৬ ইন্সি ডিসপ্লে, ৭২০x১৬৪০ পিক্সেল ডিসপ্লে রেজুলেশন, মোবাইলটির ওজন ১৯২ গ্রাম মাত্র, পিছনে কোয়াড ১৬+২+২ মেগাপিক্সেল+কিউভিজিএ ক্যামেরা ও সামনে ৮ ম্যাগাপিয়েক্সেল ক্যামেরা, পিছনের ক্যামেরা দিয়ে (১৪৪০পিক্সেল) প্লাস রেজুলেশনের ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে।
সামনের ক্যামেরা দিয়ে ফুল এইচডি (১০৮০পিক্সেল) প্লাস রেজুলেশনের ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন, অপারেটিং সিস্টেম দেয়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১০, প্রসেসর অক্টা-কোর, ২.০ জিএইচজেড, চিপস্টে মিডিয়াটেক হ্যালিও জি৭০, জিপিইউ দেয়া হয়েছে ম্যালি জি-৫২, রোম ১২৮জিবি, ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ১৮ওয়ার্ডের ফাস্টিং চার্জ সিস্টেম, মোবাইলটির পিছনে ফিংগারপ্রিন্ট ও সামনে ফেইস লক সিস্টেম ইত্যাদি ফিচারিং সমূহের জন্য ১২,৪৯০ টাকায় একটি ভালো মানের প্যাকেজ হবে।
টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলের খারাপ দিক
টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলে ইউএসবি টাইপ সি সমর্থন করে না, র্যাম ৪জিবি ব্যবহার করা হয়েছে, কোন প্রকার গ্লাস প্রোটেকশন নেই, ১৮ওয়ার্ড ফাস্টিং চার্জার সমর্থন করলেও মোবাইলটির বক্সে ১০ওয়ার্ডের চার্জার দেয়া হয়েছে, মোবাইলটি ওয়াটারপ্রুফ নয় ইত্যাদি।
বিশেষ মতামত
বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে ১২,৪৯০ টাকায় যতগুলি মোবাইল পাওয়া যায় তাদের মধ্যে অন্যতম মোবাইল হলো টেকনো স্পার্ক ৬, কেনো ১২,৪৯০ টাকা বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে পাওয়া যায় যতগুলি মোবাইল রয়েছে সে সব মোবাইলগুলিতে এতো সব ফিচার দেয়া হয় না বা হয়নি যা এই মোবাইলটিতে দেয়া হয়েছে সুতরাং আপনি যদি কম দামে একটি ভালো মানের মোবাইল অনুসন্ধান করে থাকেন তাহলে টেকনো স্পার্ক ৬ মোবাইলটি সেরা পছন্দ হতে পারে আপনার জন্য।
শেষ কথা
একটি ভালো মোবাইল কে না কিনতে চাই, সবার ইচ্ছা নিজের জন্য একটি সেরা মোবাইল কিনতে যাতে করে সে তার মোবাইলটি দিয়ে পছন্দের সকল কাজ করতে পারে ও দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার করতে পারে তাই আপনি যদি একটি ভালো মোবাইল কিনতে চান তাহলে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি গুরুত দিবেন।
ভালো ডিসপ্লে, ভালো ক্যামেরা, র্যাম ও রোম, প্রসেসর, চিপস্টে, ব্যাটারি, ডিসপ্লে রেজুলেশন, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ফিচার সমূহ যদি ভালো নিতে পারেন তাহলে আপনার মোবাইলটি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে অনেক মোবাইল কোম্পানির মোবাইল পাওয়া যায় তাহলে আপনার জন্য কোন কোম্পানির মোবাইল ভালো হবে সেটা নির্বাচন করতে গিয়ে সকলেই হিমশিম খেয়ে পড়ে।
আমি বলে থাকি আপনি আপনার বাজেট বা সামর্থান অনুযায়ী যে সকল মোবাইল বাজারে পাওয়া যায় সে সব মোবাইলের ফিচারগুলিকে একটি থেকে অন্যটির সাথে তুলনা করবেন এবং তখন দেখবেন যে মোবাইলটি দাম অনুযায়ি ভালো ও বেশি ফিচার দিচ্ছে সে মোবাইলটি কিনে নিবেন।
আসলে ব্যান্ড কোন কিছু নয়, সকল মোবাইল কোম্পানির শুরুটা নন ব্যান্ড দিয়ে শুরু হয়েছে তাই যদি আপনি ব্যান্ড নিয়ে চিন্তায় থাকেন তাহলে কখনই ভালো মোবাইল নিতে পারবেন না তার কারণ হচ্ছে ব্যান্ড মোবাইলগুলিতেও ঝামেলা থাকে, তারপরও যদি আপনি ব্যান্ড অথবা এই মোবাইলটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তাহলে আপনি আমাদের সাইটে রিভিউ ক্যাটাগরি অপশনটি একবার ঘুরে আসুন সেখানে আরো ভালো ও ব্যান্ড মোবাইলের রিভিউ দেয়া আছে আসা করি সেখান থেকে একটি মোবাইল আপনার পছন্দ হতেও পারে।