রিং আইডি দিয়ে ইনকামঃএকটা সময় ছিল যখন অনলাইন বা ইন্টারনেট এর ব্যবহার তেমন ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে অনলাইন ব্যাবহারকারীর সংখ্যা।
যার ফলে এখন অনলাইনে থেকে টাকা উপার্জন করা যাচ্ছে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে আপনিও এখন পারবেন অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে।
তাহলে কিভাবে আয় করবো? দেখুন অনলাইনে প্লাটফর্ম বিশাল বড়। তাই এখানে নানান উপায়ে আপনি আয় করতে পারেন। তবে আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের রিং আইডি দিয়ে কিভাবে ইনকাম করবেন সেটি নিয়ে বলবো।
রিং আইডি দিয়ে ইনকাম কথাটি অনেকের মাঝে নতুন হতে পারে যারা চিনেন না, রিং আইডি মূলত কি।
তাহলে,
রিং আইডি কি?
রিং আইডি (Ring I'd) হচ্ছে ফেসবুক এর মতই এক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রিং আইডি।
রিং আইডি যেহেতু একটি সোশ্যাল মিডিয়া, তাই এখানে আপনি অন্যান্য সব সোশ্যাল মিডিয়া এর মতই অনেক সুবিধা পাবেন। সবচেয়ে বড় কথা এই প্লাটফর্ম দ্বারা আপনি চাইলে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
এবং আয় করা টাকা সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে আপনি নিয়ে নিতে পারবেন। কিভাবে কি করবেন চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কিভাবে রিং আইডি দিয়ে ইনকাম করা যায়?
Ring I'd সম্পর্কে আমরা একটু আগেই জানলাম। এবং আমি আপনাদের এইটাও বলেছি যে Ring I'd দ্বারা আপনি চাইলে আয় করতে পারবেন।
Ring I'd দিয়ে ইনকাম করার কয়েকটি উপায় রয়েছে। চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক প্রত্যেকটি উপায় সম্পর্কে।
১) রেফার করে আয় করুন
শুরু থেকেই Ring I'd দ্বারা রেফার করে আয় করার উপায়টি চলে আসছে। আপনি যদি আপনার রেফার কোডটি দিয়ে আপনার কোনো বন্ধু কে Ring I'd অ্যাকাউন্ট তৈরি করাতে পারেন তাহলে আপনি পেয়ে যাবেন ৫০ টাকা।
প্রত্যেকটা রেফার এর বিনিময়ে আপনি এখানে ৫০ টাকা করে রেফার বোনাস পেয়ে যাবেন। তাহলে আপনি ১০ জনকে রেফার করলে পেয়ে যাবেন ৫০০ টাকা এবং ২০ জনকে রেফার করলে পেয়ে যাবেন ১০০০ টাকা।
এখন রেফার করে ইনকাম করার আসলেই অনেকের মাথায় প্রশ্ন আসে যে কিভাবে রেফার করার জন্য মানুষ পাবো?
আপনার আসেপাশের চেনা পরিচিত লোকেদের দিয়ে রেফার করুন।
আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি আর্টিকেল লিখে রেফার করুন।
যদি আপনাকে কেউ রেফার দিতে না চায় তাহলে আপনি একটি কাজ করতে পারেন, আপনার রেফার বোনাস ৫০ টাকা থেকে তাকে ২০ টাকা বা ৩০ টাকা ব্যাক দিতে পারেন।
তাহলে তারও লাভ হলো পাশাপাশি আপনার একটি রেফার থেকে ৩০/২০ টাকা লাভ থাকলো। এইভাবে মূলত আপনি বেশি বেশি রেফার করে আয় করতে পারেন।
২)বিনিয়োগ করে আয় করুন
যেকোনো বিজনেস এর সাথে বিনিয়োগ (Investment) কথাটি জড়িত। তাই আপনি যদি Ring I'd এর মাধ্যমে বেশি টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে।
এক্ষেত্রে তিন ধরনের ইনভেস্ট প্যাকেজ বর্তমানে চালু রয়েছে।
১) আপনাকে ২ হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে হবে, যার বিপরীতে আপনার প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন ২৫ টাকা।
২) ৯ হাজার টাকা ইনভেস্ট করলে আপনি প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন ২৫০ টাকা।
৩)১৮ হাজার টাকা ইনভেস্ট করলে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন ৫০০ টাকা।
মূলত এই তিনটি প্যাকেজ বর্তমানে চালু আছে। এখন প্যাকেজ নিলে ইনকামটা আসবে কি করে?
এখানে আপনার ইনকাম আসবে মূলত বিজ্ঞাপন/এড দেখে। অর্থাৎ এখানে প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু এড দেখতে পারবেন। প্রত্যেক এড এ বিনিময়ে আপনাকে ৫ টাকা করে দেওয়া হবে।
এইক্ষেত্রে,
যদি ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনি প্রতিদিন ৫ টি করে এড দেখতে পারবেন, যেখানে আপনার আয় দিনে ২৫ টাকা।
যদি ৯ টাকা বিনিয়োগ করে প্যাকেজটি কিনেন তাহলে আপনি প্রতিদিন ৫০টি করে এড দেখতে পারবেন, যেখানে আপনার দৈনিক আয় ২৫০ টাকা।
যদি ১৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এই বিশাল প্যাকেজ কিনেন তাহলে ১০০ টি এড দেখতে পারবেন, যেখানে দিনে আয় হবে ৫০০ টাকা।
আমি আপনাদের সাজেস্ট করবো প্যাকেজ কিনলে ১৮ হাজার টাকা দিয়ে এই প্যাকেজটি কিনুন, এই প্যাকেজটি কিনলে আপনি আপনার বিনিয়োগের টাকা তাড়াতাড়ি তুলে নিতে পারবেন।
৩) এজেন্ট হয়ে আয় করুন
আপনি যখন রিং আইডি সম্পর্কে ভালোমতো জানবেন তখন আপনি Ring I'd Agent হয়ে আয় করতে পারেন। এখানে আপনার কাজ হবে নতুন ব্যাবহারকারীদের সমস্যা সমাধান করা।
এইভাবে মূলত আপনি Ring I'd দিয়ে আনলিমিটেড আয় করতে পারবেন।
রিং আইডি থেকে কিভাবে বেশি আয় করবেন?
আমরা একটু আগে Ring I'd দিয়ে ইনকামের কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানলাম। এতক্ষনে আপনারা নিশ্চই বুঝে গিয়েছেন যে আমরা চাইলে Ring I'd দিয়ে আয় করতে পারি।
কিন্তু অনেকে প্রশ্ন করেন, Ring I'd দিয়ে বেশি আয় কিভাবে করা যায়?
রিং আইডি দিয়ে আয় করার দুটি উপায় হলো
বেশি টাকা বিনিয়োগ করেঃ আমরা মূলত একটু আগে তিনটি প্যাকেজ সম্পর্কে জানলাম। ২ হাজার টাকা কিংবা ৯ হাজার টাকার যে দুইটি প্যাকেজ আছে সেগুলো নিলে আপনার তেমন বেশি লাভ হবে না।
কিন্তু যদি আপনি ১৮ হাজার টাকার প্যাকেজটি কিনেন সেক্ষেত্রে আপনার প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে আয় করার সুযোগ থাকছে। এবং এর ফলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি আপনার ইনভেস্ট করা অর্থ আয় করে লাভের টাকা গুনতে পারবেন।
বেশি বেশি রেফার করেঃ আপনার আশেপাশের বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিচিত লোকেদের বেশি বেশি রেফার করলে আপনি আনলিমিটেড আয় করতে পারবেন।
Ring I'd এর কিছু সুবিধা
১) অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক এর মতই সব সুবিধা পাবেন।
২) Ring I'd দ্বারা মেসেজ, পোস্ট, অডিও বা ভিডিও কল, ইমোজি/ছবি পাঠানো সব করতে পারবেন।
৩)আপনার পছন্দের যেকারো সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেন এবং সংযুক্ত থাকতে পারবেন।
৪) পার্ট টাইম কাজ করে Ring I'd দিয়ে আয় করতে পারবেন।
৫)লাইভ যেকোনো কিছু দেখতে পারবেন।
৬) ফেসবুক এর মত লাইভে আসতে পারবেন।
৭)যেকোনো নিউজ, ব্রেকিং নিউজ পড়তে পারবেন।
৮)বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে নিতে পারবেন।
৯)ফেসবুক এর মত এখানে আপনি আপনার বিজনেস কিংবা নিজের জন্য একটি পেজ বানাতে পারবেন।
১০) বিভিন্ন পরিবহনের টিকেট কেটে নিতে পারবেন এখান থেকে।
এছাড়া আরো অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে Ring I'd এর।
আমাদের শেষ কথা
বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল পড়ে আমরা রিং আইডি দিয়ে ইনকাম করা সম্পর্কে জানলাম।
তবে আপনারা যারা নতুন Ring I'd তে কাজ করবেন বলে ভাবছেন তারা অবশ্যই কাজ শুরু করতে পারেন নির্দ্বিধায়।
তবে নতুন ব্যাবহারকারীরা একটি চিন্তা করেন এখানে বিনিয়োগ করলে আপনার ক্ষতি হবে নাতো? তো এর আগে অনেকেই এইখানে বিনিয়োগ করেছে এবং এখনও বেশ অনেকে এই প্লাটফর্মে কাজ করছে।
সেজন্য বলা যায়, আপনি এইখানে নির্দ্বিধায় কাজ করতে পারবেন এবং ইনকাম ও করতে পারবেন।
তবে সকল ধরনের প্ল্যাটফর্মের কিছু নিয়মনীতি বা গাইডলাইন আছে, আপনি যদি Ring I'd এর সকল গাইডলাইন মেনে এখানে কাজ করেন তাহলে আপনি আয় করতে পারবেন।
আজকের আর্টিকেলটা এই পর্যন্তই। ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে মন্তব্য করে জানাবেন।